এবারের এইচএসসিতে অকৃতকার্য হয়েছে গড়ে প্রায় ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী। কমেছে জিপিএ-ফাইভ এর সংখ্যা। কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ফলাফল বিপর্যয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল্যায়নের বাহুল্য কমেছে। আর গবেষকদের মতে, অটোপাসসহ দীর্ঘদিনের শিখন ঘাটতি এবং নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না থাকায় ফলাফলের এই বাস্তবতা।
পরীক্ষার ফলাফল যেমন সফলতার পারদ কতোটা বাড়লো দেখায়, তেমন ব্যর্থতার চোরাগলিতেও ঢু মেরে জানতে চাওয়া গলদ কোথায়? এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গত ২১ বছরের চেয়ে কম। পাস করতে পারেননি ৪১.১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
পাশের হার বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শূণ্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। গতবার ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য হলেও, এবারে তা বেড়ে হয়েছে ২০২টি। আবার গতবার যেখানে প্রায় ১৮শ প্রতিষ্ঠানে সবাই পাস করেছিল, সেখানে এবার মোট সাড়ে ৩শর মতো প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।
দীর্ঘ সময় পর পাসের সূচকে নিম্নগতি কিংবা ফলাফলের ব্যাপক ছন্দপতন, এই নিয়ে টনক নড়েছে অনেকেরই। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, শুধু সংখ্যা ভালো করার একটা অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছিল শিক্ষাখাতে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে সেই ধারার পরিবর্তনের সময় এসেছে। গোড়ায় যদি শক্ত মাটি না থাকে তাহলে ধস তো নামবেই। আমাদেরকে নিচ থেকে আবার গড়ে তুলতে হবে।
তবে কি মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কোন পরিবর্তন এসেছে নাকি পড়ালেখার মান কমেছে? এই বিষয়ে শিক্ষা গবেষক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, তারা হোঁচট খেয়েছে। যেহেতু অনেক বড় সিলেবাস এবং সেটাতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি থাকার পাশাপাশি নিরপেক্ষ মূল্যায়নের কারণে এই ফলাফল হয়েছে।
একইসঙ্গে এই গবেষক মনে করেন, শুধু রাজনৈতিক বিবেচনাতেই নয়, নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি, শিখন পদ্ধতি, মূল্যায়ন সবই হওয়া উচিত বৈজ্ঞানিকভাবে।
শিক্ষা গবেষক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, কেউ অকৃতকার্য হওয়া মানেই তার কোনো মেধা নেই, বিষয়টি এমন নয়, এ কারণেই ত্রুটিপূর্ণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।