আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুদ্রাস্ফীতি রোধ নিশ্চিত করতে চীন সরকার নির্মাণশিল্পে বিনিয়োগ করেছিল। সারি সারি বহুতল নির্মাণ করিয়েছিল। রাজপথ থেকে অলিগলি, শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ। বড় বড় আবাসন, বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু হয়েছে বিপরীত চিত্র। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বাড়িঘর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এত নতুন বহুতল তৈরি হয়েছে যে, সেখানে থাকার লোক নেই।
ভাড়াটিয়ার আশায় চীনে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও এখন ভাড়াটিয়ার সংকট দেখা দেওয়ায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে নির্মিত ভবনসমূহ। এতে বেইজিংয়ের নির্মাণশিল্প গত কয়েক মাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানীগুলো ঋণগ্রস্ত ও দেউলিয়ার পথে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যা সরকারের নীতি নির্ধারণেই। দেশের অর্থনীতিকে জোরদার করতে জিনপিং যে নীতি নিয়েছিলেন, সেখানেই গলদ রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
বিশেষজ্ঞেরা আরও বলছেন, এই সঙ্কটের পরিস্থিতি থেকে খুব শীঘ্র মুক্তি পাওয়ার আশা নেই। বরং আরও খারাপ দিন প্রধানমন্ত্রী জিনপিংয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
ব্লুমবার্গ নিউজের একটি সমীক্ষায় প্রতি ১৫ জন চীনার মধ্যে অন্তত ন’জনের দাবি, ২০২৩ সালের শেষ দিকে চীনের অর্থনীতিতে আরও বড় সঙ্কট অপেক্ষা করছে। এই নয়জনের মধ্যে ছয়জন আবার এর জন্য দায়ী করেছেন নির্মাণশিল্পকে। করোনা অতিমারির পর থেকেই চীনা নাগরিকরা হয়ে উঠেছেন অনেক সচেতন ও সঞ্চয়ী। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চীনারা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের হার। যে কারণে নতুন করে বিয়ে, সংসার, সন্তানের পরিকল্পনাও অনেকে ত্যাগ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।