বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘ ১০ বছরের প্রতীক্ষা শেষ করে অবশেষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনঃভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেছেন আল মুরসালিন মুন্না। বহুদিন ধরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন যা তার শিক্ষাজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু তার অধ্যাবসায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক সমর্থনের ফলে তিনি এখন পুনরায় ছাত্র জীবন শুরু করেছেন।
মুরসালিন মুন্না ও তার শিক্ষাজীবনের বাধা-বিপত্তি
মুরসালিন মুন্না ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী এবং তৎকালীন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সদস্য। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তার ওপর ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে নানা দুরবস্থার শিকার হয়েছি। প্রশাসন আমার অনার্স সার্টিফিকেট আটকে রাখে এবং মাস্টার্স শেষ করতে ব্যর্থ হই। ফলে আমার শিক্ষাজীবনে একটি দীর্ঘ বিরতি ঘটে।”
পুনর্ভর্তি পক্রিয়ার শুরু: পুনরায় পড়াশোনা শুরু করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল প্রশাসনিক অনুমোদন। ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে মুন্নার পুনঃভর্তির বিষয়ে প্রস্তাব তোলা হলে তা স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় তার পুনঃভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। তার এই পুনরায় ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তিনি ২০১৯-২০ সেশনের গণিত বিভাগের ১২ তম ব্যাচের সাথে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সমর্থন এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ
মুরসালিনের পুনঃভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের সমর্থন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। গণিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায় জানান, “মুন্নাকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পূর্নঃভর্তির সুপারিশ করা হয়। ফলে তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়।”
ভবিষ্যতের ধারাবাহিকতা: পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা সত্ত্বেও মুরসালিন মুন্নার সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, “অতীতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম, তার পুনরাবৃত্তি হবে না আশা করছি। আমার ইচ্ছা মাস্টার্স কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করা।” তার এই যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাজের দৃষ্টি: শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির প্রভাব নিয়ে সমাজের সচেতন মহল থেকে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে যেসব শিক্ষার্থীর জীবনপ্রবাহ ব্যাহত হয়েছে, তাদের জন্য মুরসালিন মুন্নার পুনঃভর্তি এক অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। এটি একটি স্পষ্ট উদাহরণ যে, প্রশাসনিক সমর্থন এবং সাহসিকতায় শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নকে পুনরায় বাস্তবায়ন করতে পারে।
FAQs
মুরসালিন মুন্নার পুনঃভর্তি কীভাবে সম্ভব হল?
মুরসালিন মুন্না তার পড়াশোনা পুনরায় শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন লাভ করেন।
তার শিক্ষাজীবনে বিপত্তির কারণ কী ছিল?
তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের অংশ থেকে তাকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তার বর্তমান শিক্ষাগত অবস্থান কী?
মুন্না বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ১২তম ব্যাচের সাথে মাস্টার্সে যোগ দিয়েছেন।
পুনঃভর্তি সহজতর করতে প্রশাসন কী করেছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট তার পুনঃভর্তির প্রস্তাব অনুমোদন করে।
মুক্তির মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া কী?
মুন্না নতুন শুরুর সুযোগে শিক্ষাজীবন সম্পূর্ণরূপে শেষ করার আশা ব্যক্ত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।