সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে নৌ-পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহতের ঘটনায় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানু, সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ, সদ্য বিদায়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠুর নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত রফিকুল ইসলামের পরিবার। গত ১৮ আগস্ট শিবালয় থানায় দায়ের হওয়া এ মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাতনামা আরো দুইশ জনকে আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন শিবালয় উপজেলার রূপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম (২১) পাটুরিয়া নৌ পুলিশষ ফাড়ির সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্র-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে নৌ পুলিশের গুলিতে মারা যায় রফিকুল ইসলাম। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর শিবালয় থানায় এ মামলা দায়ের করেন নিহত রফিকুল ইসলামের বাবা।
থানা সূত্রে জানা গেছে, দায়েরকৃত মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন মানিকগঞ্জ-১ আসনে সাবেক সাংসদ সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, শিবালয় উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানু, সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ, সদ্য বিদায়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠু ও পাটুরিয়া নৌ থানার পুলিশ সদস্য শেখ এমদাদ হোসেন।
এ তালিকায় আরো রয়েছেন-নাজমুল ইসলাম জনি, আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাকিম রহমান অনিক, উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, জহিরুল ইসলাম মানিক, নুরে আলম সিদ্দিকী, নকুল শীল, সেলিম রেজা, জয় ঘোষ, নজরুল ইসলাম বাবু, বেল্লাল হোসেন, তুষ্ট দত্ত, এআর মাসুদ উদ্দিন পিণ্টু, বাবুল আক্তার খাজা, পাটুরিয়া নৌফাঁড়িতে আন্দোলনের দিন কর্মরত ১১জন পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা আসামি দুইশ জন।
বিষয়টি নিয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য, দুইজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও একজন নৌ পুলিশ সদস্যসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাতনামা প্রায় দুইশ জনের নামে নিহত যুবকের বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর আমরা মামলা রুজু করেছি এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।