জুমবাংলা ডেস্ক : শীতকালীন সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে গেছে। অপর দিকে কয়েকদিন আগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেয়াজের দাম ১৩০ টাকা। ভারত থেকে আমদানী করা পেয়াজের দাম ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল ডাল আটা ময়দার দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ জানালেন রামপুরা বাজারের বিক্রেতা আবুল হোসেন। তিনি জানান, মুরগির খাবারের মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহের খরচ বাড়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে গেছে।
আরেক মুরগি বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, ‘শীতে বিয়েসহ নানান অনুষ্ঠান বেশি হওয়ার কারনে মুরগি আর ডিমের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই মুরগি আর ডিমের দামও বেড়েছে।’
আজ বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজির দাম ছিল ১৮০ টাকার আশপাশে। একইভাবে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। কোথাও কোথাও উভয় পদের মুরগির দাম আরেকটু বেশিও চাওয়া হচ্ছে। তবে দরদাম করে নিলে এই দামের মধ্যে কেনা সম্ভব বলে জানান ক্রেতারা।
বাজারে মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ‘দাম আজ হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল রাত্রেও মুরগির দাম যা ছিল তার চেয়ে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ফেলেছে। এখন কি আর করার মেহমান এসেছে বাসায়। মুরগি তাই বেশি দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে ডিম বিক্রেতা সুমন হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, আমরা ডিমের দাম বাড়াই না। গোড়া থেকে ডিমের দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে গোড়া থেকে আমাদের একেক সময় একেক কারন বলে দেয়। এবার নাকি ডিম সরবরাহের খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই ডিম বেশি দামে যেমন কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।