স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসসিসি) রিলসটা গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত ভিউ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ। এসিসির ফেসবুক পেজে এ পর্যন্ত যত রিলস ছাড়া হয়েছে, সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে মুশফিকুর রহিমের এই ক্যাচটা।
থিতু হয়ে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। ৭৫ রান করা আফগান ওপেনারের ‘পঞ্চম উইকেটে’ বলটা করেছিলেন হাসান মাহমুদ। জাদরানের ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে বল দ্রুত চলে যাচ্ছিল পাশ দিয়ে, তখনই বাজপাখি হওয়া মুশফিকের। দ্রুত রিফ্লেক্সে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দস্তানায় বলটা জমিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার।
এই দুর্দান্ত ক্যাচ দেখে ধারাভাষ্যকার চিৎকার করে উঠলেন, ‘কী দুর্দান্ত ক্যাচ, অবিশ্বাস্য!…মুশফিকুর রহিম, হোয়াট আ ক্যাচ, টেক আ বো।’ শুধু ক্যাচ অব দ্য ম্যাচই নয়, এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচই বলা যায় এটিকে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরি। বিশেষ করে হুট করে ওপেনিং করতে নেমে প্রচণ্ড গরমে মিরাজ ক্র্যাম্প নিয়ে যে ইনিংস খেলেছেন। প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সও।
লাহোরের ওই কন্ডিশনে তাসকিন আহমেদ আর শরীফুল ইসলাম যে বোলিং করেছেন, অ্যালান ডোনাল্ড অ্যান্ড কোং স্তুতিতে ভাসবেনই। তবে মিরাজের চোখে এই ম্যাচে সেরা ছবিটা তৈরি করেছেন মুশফিক। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার বলছিলেন, ‘ক্যাচ ধরছেন কাল (পরশু) মুশফিক ভাই।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উইকেটকিপিং নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি মুশফিককে। অবশ্য কখনো কখনো নিজের কিছু ভুলও কম দায়ী নয় এসব বিতর্ক-সমালোচনা তৈরিতে। যত কথাই হোক, মুশফিক সব সময়ই উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে পছন্দ করেন। মাঠটা সবচেয়ে ভালো দেখা যায়, ভালোভাবে উইকেট বোঝা যায়—এই ভাবনায় উইকেটকিপিং তিনি উপভোগ করেন অনেক।
মুশফিক উইকেটকিপিং করলে আরেকজন বাড়তি খেলোয়াড় নেওয়ার অপশনও বেড়ে যায় টিম ম্যানেজমেন্টের। এ ভাবনায় তাঁর কিপিংয়ে আস্থা রাখা হয়।
চার বছর হলো টেস্টে উইকেটকিপিং করেন না মুশফিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ায় এখন মুশফিকের উইকেটকিপিং করা হয় শুধুই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। লম্বা ক্যারিয়ারে ব্যাটার হিসেবে প্রশংসিত হলেও উইকেটকিপিংয়ের জন্য মুশফিকের কপালে প্রশংসা কমই জুটেছে। উইকেটের পেছনে সেই ‘মুশি’র ক্যাচই এখন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
সামনে আবার কোনো ভুল করলে আগের মতোই হয়তো মুশফিকের সমালোচনা কিংবা ব্যঙ্গবিদ্রূপে মেতে উঠবেন সমালোচকেরা। একজন খেলোয়াড়ের ভুল হতেই পারে, তবে এই ক্যাচটা নিশ্চিত মুশফিকের দক্ষতার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবে অনেক দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।