জুমবাংলা ডেস্ক : তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন আজ। ময়দানকে ঘিরে র্যাব, পুলিশসহ আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায় হবে আজ। এতে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ পড়বেন। নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা যোবায়ের সাহেব। ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো, হাবিবুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা, গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ বৃহৎ নামাজে শরিক হবেন। এরই মধ্যে অনেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে জায়নামাজ, পাটি, বিছানা ও পলিথিন নিয়ে ময়দানের দিকে রওনা দিয়েছেন।
বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ইজতেমা ময়দানের দিকে আসছেন। বৃহস্পতিবার কয়েক দফা বৃষ্টিতে মুসল্লিদের দুর্ভোগ হলেও কেউ ময়দান ছেড়ে যাননি। বৃষ্টির মধ্যেও মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান হয়েছে। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, আরবি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় এসব বয়ান অনুবাদ করে শোনানো হচ্ছে।
মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমা ময়দানে সব কাজ করা হচ্ছে পরামর্শের ভিত্তিতে। প্রতিবছরই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করা হয়। ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান, রান্নার স্থান, টয়লেট, অজু ও গোসলখানা সবই সুনির্দিষ্ট করা থাকে।
ইজতেমার ময়দানে জুমার নামাজ পড়তে গাজীপুরের বোডবাজার থেকে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইজতেমার মাঠে বড় জামাত হয়। এখানে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ পড়েন। আমিও এসেছি জুমার নামাজ পরতে।
গাজীপুর থেকে আসা রুহুল আমিন বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজের জন্য রওনা হয়েছি, যাতে মূলমঞ্চের কাছাকাছি নামাজ পড়তে পারি।
আজ শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি মোনাজাত। চারদিন বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।