আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের জনযুদ্ধের মুখে মিয়ানমার। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আবারও বড়সড় বিদ্রোহে সামিল সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি। বিপদ যে দুয়ারে, সপ্তাহখানেক ধরেই তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। বুধবারের খবর, বিদ্রোহীদের পাল্টা মারের মুখে কার্যত পালাতে শুরু করেছে মিয়ানমারের দুর্র্ধষ মিলিটারি সরকার। একাধিক মিডিয়ার দাবি, এই মুহূর্তে মিয়ানমারের ছ’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ এখন বিদ্রোহীদের দখলে।
বিগত কয়েক বছরের চেষ্টায় তারা ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করেছে। জান্তাকে হটিয়ে সেখানে তারাই এখন প্যারালাল গভর্নমেন্ট চালাতে শুরু করেছে বলে খবর। এই প্রদেশগুলিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হয় বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, কিংবা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে স্থায়ী সূত্রের খবর। এখানেই শেষ নয়, বিদ্রোহীদের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের সেনা উত্তর-পূর্ব ভারত বিশেষত মিজোরামে ঢুকতে শুরু করেছে বলে খবর। মিজোরাম পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৪৫ জন মিয়ানমারের সেনা ভারতীয় ভূখ-ে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভুগছে ভারত সরকার। গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীও যদি একই ভাবে ভারতীয় ভূখ-ে ঢুকতে শুরু করে, ভোটের আগে তা ভারত সরকারের কাছে মোটেই তেমন সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ইতিমধ্যেই হাজরপাঁচেক শরণার্থী মিজোরামে ঢুকে পড়েছেন বলে খবর একাধিক সূত্রে। দিল্লির আশঙ্কা, মিয়ানমার থেকে শরণার্থী স্রোত আছড়ে পড়তে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।