রহস্যময় এই জায়গাটিতে পেট্রোল-ডিজেল ছাড়াই গাড়ি চলে

রহস্যময় জায়গা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান সময়ে পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম সাধারণ মানুষের বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্তদের পকেটে বাড়তি চাপ পড়ছে। হয়তো আপনারও বাইক বা গাড়ি রয়েছে, যার জন্য তেল ভরতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে জ্বালানি ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চলে।

রহস্যময় জায়গা

হ্যাঁ, এমন একটি রহস্যময় জায়গা শুধু ভারতবর্ষেই রয়েছে। এখানে যানবাহন চালানোর জন্য তেলের খরচ হয় না, গাড়ি আপনাআপনি চলতে থাকে। রাতের বেলা যদি এই অঞ্চলে কেউ গাড়ি পার্ক করে, সকাল পর্যন্ত তার গাড়ি আর পাওয়া যায় না। কিভাবে এটি ঘটে তা এখন একটি রহস্যের দানা বেঁধে রয়েছে।

আসলে, এই রহস্যময় জায়গাটি লাদাখের লেহ অঞ্চলের। যেখানে একটি পাহাড় রয়েছে তা কোন জাদুর থেকে কম কিছু নয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই পাহাড়ের চুম্বকীয় শক্তি রয়েছে, যা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেগে যানবাহনকে নিজের দিকে টানে। এ কারণে একে ‘ম্যাগনেটিক হিল’ অর্থাৎ চুম্বকীয় পাহাড় বলা হয়।

এই চুম্বকীয় পাহাড়টি ‘গ্রাভিটি হিল’ নামে পরিচিত। মনে করা হয়, এই পাহাড়ের মাধ্যাকর্ষণ কোনও কাজই করে না। ধরুন, মাধ্যাকর্ষণ নিয়ম অনুসারে যদি কোন বস্তুকে ঢালে রেখে দেওয়া হয়, তাহলে তা গড়িয়ে পড়বে, তবে এই চুম্বকীয় পাহাড়ে এমনটা ঘটে না। এখানে গাড়ি গিয়ারে রেখে ছেড়ে দিলে ঢাল বেয়ে নামার বদলে গাড়ি উপরের দিকে উঠে যায়।

চেহারা সুন্দর ও তরতাজা করতে যা করবেন

কথিত আছে, গুরুদুয়ার পাথর সাহেবের কাছে পাহাড়টিতে আশ্চর্যজনক চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে। আকাশে উড়ন্ত জাহাজও এই পাহাড়ের চুম্বকীয় শক্তি থেকে রেহাই পাই না। এই পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সময় অনেক পাইলট দাবি করেছেন যে, এখানে বিমানে অনেক কম্পন অনুভব করেন। একইভাবে কিছু পর্যটক বলেছেন এই পাহাড়ের চারিপাশ দেখলে মস্তিষ্কে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়।