জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে শাশুড়ির মরদেহ দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত পুত্রবধূকে হেফাজতে নিলে শাশুড়ির দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বাবুগঞ্জ থানার ওসি তুষার কান্তি মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার ওই ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এর আগে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির নাম আনোয়ারা বেগমের (৮০)। অভিযুক্ত ব্যক্তি লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৪৫)।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী খোঁড়া কবরে শুয়ে রয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই নারী কবর থেকে না উঠে স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, শাহনাজের শ্বশুর ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম দম্পতির পাঁচ কন্যা ও এক ছেলে। জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শাশুড়ি ও ননদদের সঙ্গে শাহনাজের বিরোধ চলছিল। অভিযুক্ত শাহনাজের শাশুড়ি মারা যাওয়ার আগে দাফনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেখানে দাফনের জন্য তার কবরও খোঁড়া হয়। কিন্তু ওই জমি নিজেদের দাবি করে অভিযুক্ত শাহনাজ তার শ্বশুরের কবরের পাশে শাশুড়িকে দাফন করতে বলেন। এ সময় তার ননদরা মায়ের ওসিয়ত করা স্থানে দাফন করবেন বলে জানান। এ নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে অভিযুক্ত শাহনাজ তার শাশুড়ির জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন।
ওসি তুষার কান্তি মণ্ডল জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শাহনাজ তার মৃত শাশুড়িকে কবর দিতে বাধা দেন। এ সময় তার এমন কর্মকাণ্ডে গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মরহুমার দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরে অভিযুক্ত নারীর মুচলেকা নিয়ে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।