আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী ট্যাক্সি চালক ১০ লাখ দিরহাম মূল্যমানের নগদ অর্থ এবং মূল্যবান সামগ্রী ফেরত দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর মান দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা।
পরিবারসহ এক যাত্রীর ভুলবশত ফেলে যাওয়া এই বিপুল পরিমাণের মূল্যমান জিনিসপত্র ফেরত দেয়ায় রোববার (২০ অক্টোবর) দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় হেমাদা আবু জেইদ নামের ওই মিশরীয় প্রবাসীকে। তিনি ২০০৬ সাল থেকে দুবাইয়ের ট্যাক্সি কোম্পানিতে কাজ করছেন।
দিনটি ছিল ১১ অক্টোবর, যখন হেমাদা দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ থেকে একটি পরিবারকে পালম জুমেইরাহর হোটেলে নিয়ে যান তিনি। ওই যাত্রী ইউরোপীয় ছিলেন, যিনি তার স্ত্রী এবং শিশুসন্তানসহ দুবাইতে ঘুরতে আসেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি হয়তো ছোট কালো চামড়ার ব্যাগটি সিটের নিচে রেখেছিলেন, সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জানান হেমাদা।
তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার পর, হেমাদা অন্য একটি পরিবারকে ট্যাক্সিতে তুলেছিলেন, যারা সিটে একটি মোবাইল ফোন রেখে চলে যায়। ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে হোটেলে ফিরে যাই, ফোনটি তাদের কিনা তা যাচাই করার জন্য’,তিনি বলেন। তখনই আমি সিটের নিচে ছোট ব্যাগটি দেখি; তবে,ব্যাগটি সেই পরিবারের ছিল না যারা ফোনটি দাবি করেছিল।
ব্যাগের ভেতরের জিনিসপত্র না দেখেই হেমাদা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ‘আমি একবারও ভাবিনি। আমি জানতাম যে আমাকে এটি ফেরত দিতে হবে,’ তিনি বলেন।
পুলিশ এসে নিশ্চিত করে যে ব্যাগটিতে ছিল মূল্যবান জিনিসপত্র, যেগুলো যাত্রী ইতোমধ্যেই হারানোর রিপোর্ট করেছিলেন। উদ্বিগ্ন যাত্রী তার মূল্যবান ব্যাগ ফেরত পেয়ে হেমাদার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হেমাদা বলেন, ‘হারানো জিনিসপত্র ফেরত দেয়া আমার দায়িত্ব, যাতে সেগুলো তাদের প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছায়। এটি আমাদের নৈতিক মানদণ্ড, যা আমরা দুবাইতে বজায় রাখি। আমি প্রায়ই এমন জিনিসপত্র পাই যা যাত্রীরা ভুলে ফেলে চলে যান। আমার তাৎক্ষণিক ইচ্ছা এবং প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেগুলো ফেরত দেয়া, যাই হোক না কেন তার মূল্য।’
আল বারশা পুলিশ স্টেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাজিদ আল সুয়াইদি পরবর্তীতে হেমাদাকে একটি প্রশংসাপত্র দেন। তার এই কাজ সততা এবং দায়িত্বশীলতার মহান মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে, যা আমরা সমাজে প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করতে চাই,মন্তব্য করেন ব্রিগেডিয়ার আল সুয়াইদি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।