আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে দুটি বাস ভূমিধসে নদীতে পড়েছে। নদীর পানি বৃষ্টিতে বেড়েছে। তিনজনকে উদ্ধার করা গেছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঠমান্ডুর ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে সীমালতারের কাছে নারায়ণঘাট-মুগলিং মহাসড়ক থেকে অন্তত ৬৫ জন নিয়ে বাস দুটি নদীতে গিয়ে পড়ে।
সরকারের প্রশাসক খিমা ননদা ভুসাল বলেন, বাসে থাকা তিনজন ত্রিশূলী নদীতে ঝাঁপ দেন এবং সাঁতরে তীরে ওঠেন। স্থানীয়রা তাদের কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের চিকিৎসা চলছে।
নিখোঁজ যাত্রীদের অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষ সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ডেকেছ। তবে টানা বৃষ্টি উদ্ধার অভিযানকে দুরূহ করে তুলেছে। বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসে সড়ক বন্ধ হয়ে আছে বলে জানান ভুসাল।
পুলিশের মুখপাত্র ডান বাহাদুর কারকি বলেন, প্রথম বাসে ৪১ জন ছিলেন। তারা কাঠমান্ডু থেক গওরে যাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় বাসে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। পথে এতে আরও যাত্রী উঠে থাকতে পাএরন।
জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যাউ কয়েক ডজন লোকের প্রাণ গেছে।
একই মহাসড়কে ভূমিধসে একটি বাস ছিটকে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। ভুসাল বলেন, অন্য কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
রাজধানী থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে কাসকি জেলায় ভূমিধসে চাপা পড়ে ১০ জনের প্রাণ গেছে। তিনটি বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এসব ঘটনায় শোক জানিয়েছেন এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে কার্যকর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নেপালে বর্ষা শুরু হয় জুন মাসে, শেষ হয় সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ে বেশ বৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রায়শই পাহাড়ি দেশটিতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।