বিনোদন ডেস্ক : অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরি শারীরিকভাবে অসুস্থ। বলিউডের লাইমলাইটের ঝলক তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক দুই দিক থেকেই তাঁর জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে।
ইমতিয়াজ আলীর চলচ্চিত্র, অভিনেতা রণবীর কাপুর অভিনীত ‘রকস্টার’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। মাত্র কয়েকটি বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তারপরই বিরতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকা শুরু করেন। অনেক দিন ধরেই বড় পর্দায় এই অভিনেত্রীর দেখা মিলছে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরি প্রকাশ করেছেন যে ‘বলিউডের লাইমলাইটের ক্রমাগত ঝলক তাঁকে মানসিক এবং শারীরিক দিক দিয়ে একেবারে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। এত কাজ করতে করতে তিনি শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ’
নার্গিস বলছেন, ‘আমার অনেক শারীরিক অসুস্থতা আমার দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করছিল। এই সমস্যাগুলো উপেক্ষা করা খুব কঠিন ছিল। আমার শরীর, এককভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছিল না। তাই আমি মনে মনে ভেবেই নিয়েছিলাম যে আমাকে বিরতি নিতে হবে, কারণ আমি সুখী ব্যক্তি নই। ’
এমনকি নার্গিস ইন্ডাস্ট্রিকে হ্যামস্টার হুইলের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, আমার প্রতিটি মুহূর্ত একটি ইঁদুর দৌড়ের মতো অনুভূত হচ্ছিল। তিনি নিজের আত্মাকে ছবির চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করতে পারছিলেন না। তাঁর ‘মনই তাঁর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল’।
এরপর তিনি বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যদিও বিরতি নেওয়ার আগে ছবির একাধিক সংস্থা তাঁকে বলেছিল ‘দৃষ্টির বাইরে, মনের বাইরে’। অবশ্য তিনি বলছিলেন, ‘তাঁরা আমাকে বিরতি নিতে না করেছিল এবং আমাকে সতর্ক করেছিল যে আমি যদি দৃষ্টির বাইরে চলে যাই, আমি মানুষের মনের বাইরেও চলে যাব। এর কিছু সত্য তো আছে বটেই। ’
কিন্তু আমার উত্তর ছিল, ‘আমি নিজে কতটা এখানে থাকতে চাই, সেই হিসেবে আমি পাবলিকের কথা ভাবব তাই না?’ তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যত দিন ছিলেন তিনি, তাঁর অভিনয়, পর্দার প্রেজেন্টেশন অনেকের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল। কাজের ফ্রন্টে, নার্গিসকে শেষ দেখা গিয়েছিল তোরবাজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।