লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই ধুলো থেকে অ্যালার্জি, হাঁপানি এই সমস্যাগুলো বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কম থাকে। তাই বয়ঃসন্ধির পর থেকে মহিলাদের মধ্যে অ্যাস্থমায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকার কারণে তা এক ধরনের ইমিউন সেল তৈরির মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই কোষই অ্যাস্থমার অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়। টেস্টোস্টেরন তাতে বাধা দেয়। ফ্রান্সের সাইকোথেরাপি অধ্যাপক সিরিল সিলেট জানিয়েছেন, পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যত বেশি হবে, অ্যাস্থমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
টেস্টোস্টেরন লিম্ফোয়েড কোষের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই কোষের প্রাবল্যই অ্যাস্থমা অ্যাটাকের জন্য দায়ী। এই কোষকে বলা হয় আইএলসিটু কোষ। ফুসফুস ও ত্বকে এই কোষ তৈরি হয়। জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণার ফল অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরন আইএলসিটু-র উপর সরাসরি কাজ করে। ফলে পুরুষদের ফুসফুসে এই কোষের বৃদ্ধি বেশি হয় না।
এই কোষ প্রোটিনে উৎপন্ন করে ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করে। যার ফলে ফুলের রেনু, ধুলো, সিগারেটের ধোঁয়া, পোষ্যের লোম থেকে অ্যাস্থমা অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এই গবেষণার ফলের মাধ্যমে লিঙ্গ অনুযায়ী অ্যাস্থমার কারণ নির্ধারণ ও চিকিৎসা সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।