জুমবাংলা ডেস্ক : লাউ শীতকালীন সবজি হলেও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সারাবছরই মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করেন চাষিরা। মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করায় পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ এ এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। বেশি ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরা। লাউসহ নতুন নতুন সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলার চরকালনা গ্রামের চাষি আকতার শেখ বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের লাউয়ের চাষ করেছি। লাউ চাষে সেচ ও শ্রমিক খরচ কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই বললেই চলে। ফলে কীটনাশক ব্যবহার না হওয়ায় মানুষ বিষমুক্ত লাউ খাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি সপ্তাতে পাঁচশো থেকে এক হাজার পিস লাউ ক্ষেত থেকে তুলা হয়। তবে তিনি আশা করছেন খরচ বাদ দিয়ে তিন লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি হবে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
পূর্বচরকালনা গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, দুই জাতের লাউয়ের চাষ আমাদের এখানে হয়। লম্বা হাইব্রিড জাতের ও গোলাকার জাতের লাউয়ের চাষ হয়। লম্বা জাতের লাউয়ের চাহিদা একটু বেশী। বাজারে একটি লাউ প্রকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাউয়ের ফলন ভালো হয়েছে।
মল্লিকপুর, পারমল্লিকপুর, ঝিকড়া, চরকালনা, পূর্বচরকালনা, তেতুলিয়া, চরবগজুড়ি, কামঠানা, জয়পুর, চোরখালী আড়িয়ালাসহ বেশ কিছু মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাচায় লাউ চাষ করায় প্রতিটি মাচায় ডগায় ডগায় ঝুলে আছে লাউ। বাজারে একটি লাউ প্রকার ভেদে ৩০ টাকা হতে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ দেখতে অনেক সুন্দর মসৃণ ও সু-স্বাদু হওয়ায় চাহিদা একটু বেশী।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, অন্যান্য পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম লাউ। আমরা কৃষকদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে কৃষকরা লাউ চাষ করে লাভবান হবে। তবে এবছর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক হারে লাউ চাষ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।