আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুরুষদের শরীর দেখা গেলে কারও আপত্তি নেই, কিন্তু নারীদের নিয়ে শুরু হয় নানা কথা। এই ধারা ভাঙতে নতুন উদ্যোগ স্পেনের।
মেয়েদের ‘যৌ.ন..তা..র চিহ্ন’ হিসাবে দেখা হয়। ছোটবেলা থেকেই তাদের প্রতি সমাজের এমন আচরণ। সারা জীবন তা বয়ে চলতে হয় নারীদের। সব সময়ে, সর্বত্র এক নারীকে নিজের স্ত..ন আবৃত করে রাখতে হবে— এই নিয়মই তার প্রমাণ। এই অলিখিত নিয়ম ভেঙে ফেলতে নারীদেরও উপরের পোশাক ছাড়াই সাঁতার কাটতে উৎসাহ দিচ্ছে স্পেন প্রশাসন।
সম্প্রতি স্পেনের কয়েকটি সুইমিং পুলে ঊর্ধ্বাঙ্গে কোনও পোশাক না পরা নারীদের সাঁতার কাটতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরই কাতালুনিয়ার ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ফেমিনিজম’-এর তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় এই মর্মে। সেখানেই লিঙ্গবৈষম্য কমাতে পুরুষদের সঙ্গে নারীদেরও খালি গায়ে সাঁতার কাটার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপনটিতে বলা হয়েছে, পুরুষদের শরীর প্রদর্শন নিয়ে কারও আপত্তি নেই, কিন্তু নারীর স্ত..ন দেখা গেলেই তা নিয়ে কথা শুরু হয়। নারীদের নিজের দেহের উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকা উচিত। ঊর্ধ্বাঙ্গ ঢেকে রাখবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নারীদের হাতেই থাকা উচিত। বিষয়টি মত প্রকাশের স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও দাবি করা হয় ওই বিজ্ঞাপনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।