জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষের পাশে আছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক ভিডিওবার্তায় জয় এসব কথা বলেন।
যদিও এর আগে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, তার মা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশের কী হলো সেটি দেখার দায়িত্ব তাদের না। তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। তবে এবার নিজের সেই বক্তব্য ফিরিয়ে নিলেন জয়।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সারাদেশে ভাঙচুর-লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে, আমার পরিবার আর রাজনীতি করবে না। তবে নেতাকর্মীর ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যদি গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, তবে সেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না, আওয়ামী লীগকে শেষ করা যাবে না। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র-নির্বাচন সম্ভব না।’
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সাহস নিয়ে দাঁড়ান। আপনারা একা না, আমরা আছি, বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সাথেই আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশকে রক্ষার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক শৃঙ্খল নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যদি তারা জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দেয়।’
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।