হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশু ইমন মিয়ার সন্ধান মেলেনি তিন বছরেও।

বাহুবল উপজেলার নন্দনপুরের ভাতকাটিয়া এলাকার বাসিন্দা আলিজা খাতুন জংশন এলাকায় ভিক্ষা করেন। ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর ভিক্ষা করতে সঙ্গে করে নাতি ইমনকে নিয়ে আসেন তিনি। সেসময় জংশন এলাকা থেকে শিশু ইমন নিখোঁজ হয়।
সেই থেকে নাতিকে খুঁজতে থাকেন নানি আলিজা খাতুন। আদরের নাতির সন্ধান পেতে বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ থানায় জিডি করেছিলেন। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এখনও নাতি ইমনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন আলিজা খাতুন।
তিনি জানান, ঝুপড়ি ঘরে তার বসবাস। খেয়ে না খেয়ে দিন চলে। মেয়ে পেয়ারা বেগমকে বিয়ে দিয়েছিলেন। নাতি ইমনের জন্মের পরে তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এ কারণে তা পেয়ারা বেগমকে ছেড়ে তার স্বামী অন্যত্র চলে যান। সেই থেকে মেয়ে ও নাতিকে লালন পালন করে আসছিলেন আলিজা খাতুন।
জংশন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা জানান- নাতিকে নিয়ে আলিজা খাতুন ভিক্ষা করতেন। প্রায় তিন বছর আগে নাতিকে হারিয়ে ফেলেন। এখনও তিনি নাতির খোঁজে নানা স্থানে ঘুরে বেড়ান। নাতির অপেক্ষায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। নাতির জন্য তিনি কান্না করেন। এ দৃশ্য দেখলে, অনেক কষ্ট লাগে। তাই প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে আমাদের দাবি ইমনের সন্ধান পেতে যেন অসহায় আলিজা খাতুনকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কান্ত নাথ ও বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ শিশু ইমন মিয়ার ব্যাপারে থানায় জিডি হয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে।
সূত্র ও ছবি : রাইজিং বিডি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



