জুমবাংলা ডেস্ক : বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বরাবরের মতো এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিন ও সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস।
১৬ ডিসেম্বর ভোরে আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেখানে সাধারণ মানুষ যেতে পারবে না।
আর শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কেউ যাতে ফুল বাগানের ক্ষতি না করে, সেজন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে বিজয় দিবসের কোনো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন না টানাতেও সতর্ক করা হয়েছে।
দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ, আগামী সোমবার সেই বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তি উদযাপন করবে জাতি।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই প্রথম বিজয় দিবস। সেদিন প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সেদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। টেলিভিশনে প্রচার করা হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।