সাইফুল ইসলাম : ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান অফিস। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিনার উদ্দীন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার জনমিতিক চিত্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচক, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, কৃষি, দারিদ্র্য, শ্রমশক্তি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পরিবেশ, বিদ্যুৎ এবং আইসিটি ব্যবহারের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। সঠিক ও মানসম্মত পরিসংখ্যান সরকারের নীতি নির্ধারণ, বাজেট প্রণয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ভিত্তি।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা বজায় রাখতে হবে। ডেটা এখন শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, এটি ডিজিটাল উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।”
বক্তারা বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরিসংখ্যান বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাঠপর্যায়ের সঠিক তথ্যই জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়নে সহায়ক হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ২০১০ সালে ২০ অক্টোবর তারিখকে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথমবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয় ২০১০ সালে এবং এরপর থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। একই দিনে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পরিসংখ্যান দিবস পালন করা হয়, যার লক্ষ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নকে আরও জোরদার করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।