আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গেল সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্র্যান্ট শ্যাপস। বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ব্রিটেনকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিকে ডাবলিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাডকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাৎতে তারা দু’দেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার ‘বিশাল সম্ভাবন’ নিয়ে কথা বলেন।
আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেন উভয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাহলে, কেন একটি দেশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ও অন্যটি কথিত শত্রুর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে? এ প্রশ্নের একমাত্র সম্ভাব্য উত্তর হলো আইরিশ সরকার মনে করে না যে এই জাতীয় সংঘাত ঘটতে চলেছে। তাহলে কে মনে করে?
ধারণা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছে সামরিক জোট ন্যাটো। গত সপ্তাহে তারা ঘোষণা দেয়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য মহড়া শুরু করবে। অর্থাৎ একটি বিশ্বব্যাপী সংঘাত হতে পারে, যা সম্ভবত পারমাণবিক যুদ্ধে বাড়বে ও বিশ্বকে ধ্বংস করবে। গভীরভাবে দেখলে এর আরও প্রমাণ পাওয়া যায়।
গ্র্যান্ট শ্যাপসের ওই বক্তব্য অনুযায়ী, সক্রিয় ও রিজার্ভসহ ওই দেশগুলোতে মোট ৮২ লাখ সেনা রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনী বর্তমানে ভয়াবহ নিয়োগ সংকটের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে দেশটির সেনা সদস্যের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। যদি যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্যাপসের কালো তালিকাভুক্ত চারটি দেশকে গ্রহণ করার চেষ্টা করে তবে প্রতিটি ব্রিটিশ বা আমেরিকান সৈন্যের জন্য আটটি শত্রু সেনা থাকবে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা করা হয়, নাবিকের ঘাটতির কারণে লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী রণতরী পাঠানো যাবে না। আমেরিকার মতো, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী নিয়োগ সংকটের কারণে কর্মীদের চরম ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বাস্তবতা হলো ইউক্রেনের অবনতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় এসব ষড়যন্ত্র করা যেতে পারে। জোটটি ভলোদিমির জেলেনস্কির পক্ষে তার সব শক্তি নিক্ষেপ করেছে। একই সঙ্গে এটিও স্পষ্ট যে, যুদ্ধটি তাদের পক্ষে ভালো যাচ্ছে না।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো দাবি, সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি কিয়েভের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এই জোট পশ্চিমা বিশ্বকে সামগ্রিক বৈশ্বিক যুদ্ধ ও সম্ভাব্য পারমাণবিক ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত করায় জড়িত বলে মনে হচ্ছে।
স্লোভাকিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয়েরই সদস্য। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ব্রাতিস্লাভা-ভিত্তিক গ্লোবসেক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে স্লোভাকিয়া হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম রাশিয়াপন্থী দেশ।
সূত্র: মর্ডান ডিপ্লোমেসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।