আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নতুন করে আরও ৫ লাখ সেনা ভর্তি করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি জানান। তার এই ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে, যখন রাশিয়া দাবি করেছে—বিগত পৌনে দুই বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের অন্তত ৩ লাখ ৮০ হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভের সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডাররা নতুন করে আরও সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ সেনা ভর্তি করতে চান। এ সময় জেলেনস্কি স্বীকার করে নেন যে, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং ব্যয়বহুল।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানান, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার প্রয়োজন আছে। এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এরই মধ্যে রণক্ষেত্রে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা যুদ্ধ করছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর মতে, বিগত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের অন্তত ৩ লাখ ৮৩ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। এই সময়ে দেশটি অন্তত ১৪ হাজার ট্যাংক ও বিভিন্ন সাঁজোয়া ও পদাতিক যান হারিয়েছে। একই সময়ে ইউক্রেনের ৫৫৩টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর আক্রমণে ইউক্রেন হেলিকপ্টার হারিয়েছে ২৫৯টি। এ ছাড়া সাড়ে ৮ হাজার বিভিন্ন ধরনে গোলন্দাজ ও মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ইউনিটও হারিয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, জুনের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে কিয়েভ তার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত জনবলের প্রায় অর্ধেকই হারিয়ে ফেলেছে। ব্যয়বহুল এই পাল্টা আক্রমণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ফলপ্রসূ অভিযানে সক্ষম হয়নি। ফলে যে লক্ষ্যে কিয়েভ এই পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা সমর কর্মকর্তারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন, মস্কো যেসব লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে ইউক্রেন বিশেষ সামরিক অভিযানের চালিয়েছে, সেগুলো এখনই ত্যাগ করছে না। তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ান সামরিক বাহিনী বর্তমানে সংঘাত কৌশলগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।