জুমবাঙলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুন দায়িত্ব পালন শুরুর আগে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা তাদের ওপর আস্থা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা।
চমৎকার মন্ত্রিপরিষদ হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ। বিচক্ষণতার সঙ্গে বিবেচনা করে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সাজিয়েছেন। সত্যিই চমৎকার মন্ত্রিপরিষদ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যখন যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, সেটি আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। গতবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেটি আমি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করেছি। এখন যে মন্ত্রণালয়েই দেন, আমি নিষ্ঠা, একাগ্রতা এবং সব প্রচেষ্টা দিয়ে সে দায়িত্ব পালন করব।
জনগণ ভালো থাকলে সরকার ভালো থাকবে: বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এ সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশি-বিদেশি চক্রের বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার যে পাঁয়তারা রয়েছে, সেই পাঁয়তারাকে সফলভাবে মোকাবিলা করা। দেশের ভেতরে দ্রব্যমূল্যের সমস্যাসহ যে সমস্যা আছে, আমি আশা করি গ্লোবাল সমস্যার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে আমরা সমাধান করতে পারব। আমার সব সময় একটাই দাবি-বাংলাদেশ ভালো করুক। বাংলাদেশের জনগণ ভালো থাকলে সরকার ভালো থাকবে। আমরা রাজনীতিবিদরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি অনেক খুশি হয়েছি যে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পুনরায় তার মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন।
আমার নতুন করে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমি তো ১০ বছর ধরে মন্ত্রী ছিলাম। সেক্ষেত্রে আমার নতুন করে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। দায়িত্বটা কী, বুঝে নিয়ে তারপর সেই দায়িত্ব নিয়ে কথা বলব।
এ জায়গায় কাজ করাটা বড় ভাগ্যের ব্যাপার: বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদমন্ত্রী। সেই জায়গায় এত বছর ধরে কাজ করাটা বড় ভাগ্যের ব্যাপার। আমি মনে করি, এ কারণে দায়িত্বও একটা বড় বিষয়। এ মন্ত্রণালয়কে স্থিতিশীল রাখা। বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্কেল নির্ভর করে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ওপর। এটাকে স্থিতিশীল রাখাটাই হবে আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
কাম্য ছিল না ফোন আসবে, এটা নতুন চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এটা আমার কাম্য ছিল না যে মন্ত্রিসভা থেকে ফোন আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব পালন করার। আমাকে ৭টার দিকে ফোন দিয়ে বলা হলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছি। তো আমি ভাবছি কোনো রোগী নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলবেন। আমি কোনোদিন ভাবিনি যে মন্ত্রিপরিষদে আমাকে পাঠানো হবে। এটা জানার পর আমি সত্যিই খুব ঘাবড়ে গেলাম। আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। মনে করেছিলাম ভুয়া টেলিফোন হতে পারে। পরে যখন টেলিভিশনে দেখলাম, তখন আমি নিশ্চিত হলাম। আমার অনুভূতিটা হচ্ছে, এটা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, আমি চেষ্টা করব তার আস্থাকে সুন্দরভাবে পালন করতে।
অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে চাই: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমি যখন রাজনীতি শুরু করি, তখন আমি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রাজনীতি করি। আমি ২০০৫ সাল থেকে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি শুরু করি। সেই জায়গা থেকে দুটো রাজনীতির অবস্থানগত জায়গা থেকে আমি দুটি রাজনীতি সম্পর্কে অবহিত রয়েছি। আজ হয়তো আবার তৃণমূল থেকে এখানে আসার সুযোগ হয়েছে। সেজন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে চাই।
পুরস্কার-প্রমোশন নয়, নতুন দায়িত্ব মনে করি: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল সমাপ্ত হওয়া সরকারে আমি একটা দায়িত্বে ছিলাম। নতুন সরকারের সূচনায় আমাকে আরেকটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার কিংবা প্রমোশন নয়, নতুন দায়িত্ব হিসাবে আমি এটাকে মনে করি। দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমাকে এটা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সবকিছুই চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের সরকারব্যবস্থাকে জনমুখী করতে হবে। মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের সেবা সহজ করতে হবে। তাই এগুলোকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখি। এগুলো সহজভাবে নিরসন করতে পারলে আমরা সফল হব বলে মনে করব।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করব : রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজবাড়ী জেলা থেকে প্রথমবার মন্ত্রী হচ্ছি। জেলার মানুষ অত্যন্ত খুশি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আমি পালনের চেষ্টা করব।
মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারা সৌভাগ্যের: জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঁচ বছর কাজ করেছি। তার দক্ষ নেতৃত্বে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। দেশের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারাটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। এবার আমাকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচটি বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার সব প্রচেষ্টা দিয়ে নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যে দায়িত্ব অর্পণ করা হবে, তা পালনের চেষ্টা করব।
এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা: যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আমি আগে বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ করেছি। মন্ত্রীর দায়িত্ব একেবারেই ভিন্ন, সেজন্য দায়িত্বটা আগে বুঝতে চাই। কাজটা আগে বোঝার চেষ্টা করব। চেষ্টা করব যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেখানে সেরাটা দেওয়ার।
অভিজ্ঞতাকে এবার পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাব: নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি আমার ওপর আবারও আস্থা রেখেছেন। গত মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছি। সে অভিজ্ঞতাকে এবার পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাব।
আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করব : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেবেন, আমি সেখানে আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।