বিনোদন ডেস্ক : নতুন ৮ সিনেমায় কপাল খুলেছে বন্ধ থাকা প্রেক্ষাগৃহের। ঈদে ব্যবসাও হয়েছে আশাতীত। ভালো সিনেমা পাওয়া গেলে সিনেমার সুদিন অবশ্যই ফিরবে, ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
মাত্র বছর আগেও সারাদেশে সিনেমা হল ছিল ১৪শ’ মতো। কমতে কমতে হলের সংখ্যা এখন ৪৫। সময়োপযোগী গল্পের অভাব, ওটিটি প্লাটফর্ম আর ইউটিউবে সহজে সিনেমা পাওয়ায় দর্শকেরা হলে যান না বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
বন্ধ থাকা হলগুলোর বেশ কটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবারের ঈদে। তবে বন্ধ থাকা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলগুলো এবার খুলতে পারেনি নানা জটিলতায়।
মধুমিতা হল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ বলেন, “হল তো ব্যবসা করছেনা, প্রতিষ্ঠান টাকা পাচ্ছে না। হল ভাড়া দিয়েছে। থার্ড পার্টি যারা বুকিং এজেন্ট তাদের কাছে দিয়ে দিয়েছে, তারা লামছাম টাকা দেয় হলের মালিককে। এখন বিজনেসটা ওই রকম হয়ে গেছে।”
সিনেমা শিল্পের বেহাল অবস্থার নেপথ্যে সামাজিক আর ধর্মীয় কারণকে দায়ী করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক ও প্রদর্শক সমিতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক ও প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। এই গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা যেগুলো হয়েছে সেগুলো তো ৭৫ সালের পর থেকেই এই চক্রান্তগুলো শুরু। সিনেমার বিপরীতে বয়ান দিচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বয়ান দিচ্ছে। এটার প্রভাব আগে তেমন বোঝা যেতো না, এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিষ্কার।
দর্শককে হলে ফেরাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের তাগাদাও দেন সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।