জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রস্তুতির যথেষ্ট ঘাটতি দেখছেন শিক্ষা গবেষকরা। শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এসব কারণেই নানা অপপ্রচার হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, শিক্ষাক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সব চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী শিক্ষাবর্ষে চালু হচ্ছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম। তবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। অষ্টম ও নবম শ্রেণির বিজ্ঞান এবং ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়েছে শেষ মুহুর্তে। শুরু হয়নি বই ছাপানো।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। এটি কার্যকর করতে হলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাক্রম বিষয়ে আরও আগেই অভিভাবকদের সচেতন করার প্রয়োজন ছিল মনে করেন তারা।
এনসিটিবি বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এদিকে রোববার শিক্ষকদের সাত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়া হবে। সেই প্রশিক্ষণের জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন কোনো কিছু চালু করলে সেটির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লাগে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করি তেমন সমস্যা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।