জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন শিক্ষাক্রমে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে ৫০ নম্বরের লিখিত ও ৫০ নম্বরের শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে। মাধ্যমিক (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষাও হবে একই পদ্ধতিতে। যা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠিত কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, এই সুপারিশের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলতি বছরই প্রথম থেকে তৃতীয় ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয় ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই কমিটি চলতি সপ্তাহে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটি সুপারিশ করেছে, শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা রাখার। একই পদ্ধতিতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কয়েক ধাপে আপডেটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে ৫০ নম্বরের লিখিত ও ৫০ নম্বরের শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও হবে একই পদ্ধতিতে।
অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য লিখিত পরীক্ষা রাখতে হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করছে কি না, সে সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন না তারা।
শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ জানান, শুধু সিস্টেম থাকলেই হবে না। সিস্টেম বাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াটাও জরুরি।
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের নৈপুণ্য অ্যাপসে জটিলতা এখনও কাটেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়ন এখনও পুরোপুরি করা যাচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।