বিনোদন ডেস্ক : কাজী নওশাবা আহমেদ। তিনি একাধারে মঞ্চ, নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। সিনেমায় খুব বেশি কাজের সুযোগ পাননি নওশাবা আহমেদ। আবার যে ক’টি পেয়েছেন সেসবে পাননি নিজের যোগ্যতা মাপে অভিনয়ের সুযোগ। নিখুঁত অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছে। আজকের এই আয়োজনে থাকছে নওশাবা আহমেদের ১০ ছবির সঙ্গে তার কয়েকটি তথ্য।
কাজী নওশাবা আহমেদ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে শ্যামলীর আদাবরে।
নওশাবার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সেলিম উদ্দিন এবং মা নাহিদ সেলিম।
নওশাবা শহীদ আনোয়ার স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে হলিক্রস স্কুল ও কলেজে ভর্তি হন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ড্রইং ও পেইন্টিং বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রথম মঞ্চনাটক সোনাটা-তে (২০১১) অভিনয় করেন তিনি। এই নাটকের পরিচালক ছিলেন মুকুল আহমেদ।
নওশাবার প্রথম নাটকের নাম ‘ছোটবেলা বড়বেলা’। অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক জুয়েল মাহমুদ পরিচালিত ‘ললিতা’।
তিনি দীর্ঘ ছয় বছর সিসিমপুরের ইকরি মিকরি চরিত্রে কণ্ঠদান ও পাপেটটি পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। সিসিমপুরের ভূতো পাপেট চরিত্রেও তিনি অভিনয় করেন। অভিনয়ের মানুষ নওশাবা গানের ভুবনেও আসতে চান।
নওশাবা প্রথম অমিত আশরাফের পরিচালনায় ‘উধাও’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘জ্বীন-২’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক কাজ ও প্রাণী নির্যাতনের বিষয় নিয়েও কাজ করেন নওশাবা।
২০০৩ সালে এহসানুর রহমান জিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নওশাবা। ২০১২ সালে তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তার নাম রাখা হয় প্রকৃতি নাজারিনা আহমেদ বেলা।
নিরাপদ সড়ক চাই শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট র্যাব তাঁকে গ্রেফতার করে। ২১ আগস্ট নওশাবা আদালত কর্তৃক ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।