বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে নিজের দক্ষতায় পাকা জমি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ছিল না গডফাদার। ছিল না টাকার ক্ষমতা। ছিল কেবল প্রতিভা। আর ছিল পরিশ্রম করার ক্ষমতা। এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী।
বৈদেশে যার অভিনয় প্রশংসিত। ‘সেক্রেড গেমস’ ওয়েব সিরিজ গণেশ গাইতোন্ডের মতো ক্রূর চরিত্র হোক বা ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ চাঁদ নবাবের চটুল চরিত্র, দু’ মিনিটের ভূমিকা হোক বা ৯০ মিনিটের, নওয়াজউদ্দিন সবেতেই সাবলীল। প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে ঢেলে দেওয়ার এবং চরিত্রটির মধ্যে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন নওয়াজউদ্দিন। জীবন যুদ্ধে বেপরোয়া মনোভাবের কারণে কোনও অবস্থাতেই তিনি কখনও হাল ছাড়েননি, যার ফলস্বরূপ দেরিতে হলেও সাফল্য পেয়েছেন।
রসায়ন নিয়ে স্নাতক পাশ করার পর পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থায় কাজ করা শুরু করেছিলেন নওয়াজ। সুরক্ষিত চাকরি জীবন, মাসের শুরুতে মাইনে, সব ছেড়ে হঠাৎই অভিনয়ের দিকে মন ছুটল। সব ছেড়ে চলে গেলেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-তে মঞ্চাভিনয় শিখতে। কিন্তু মায়ানগরীর প্রতিযোগিতায় মিশে গেলেন তিনি। ‘শূল’, ‘সরফারোশ’, ‘নিউইয়র্ক’- এর মতো বড় বড় ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে দেখা যেত তাঁকে। ছিল না রোজগার। কিন্তু আশা ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাননি। যদিও যাওয়ার উপায়ও ছিল না।
অভিনেতার বাবা ছেলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। এত কষ্ট করে মুম্বইয়ে প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হত ছেলেকে, তাই এই অভিনয়ের পেশায় সম্মতি দেননি। তাই ছেলেকে নিজের বাড়ি ঢুকতে দিতেন না নওয়াজউদ্দিনের বাবা।
কিন্তু তার পর খেলা ঘুরল। নওয়াজ এক মিনিটের চরিত্র থেকে ক্রমশ মূল চরিত্র বাগিয়ে নিতে শুরু করলেন৷ এখন আর তাঁকে কে থামায়। অভিনয় পেশায় টাকা উপার্জন করে প্রাসাদসম বাড়িও বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। বলিউডে এখন তিনি অপরিহার্য অভিনেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।