জুমবাংলা ডেস্ক : জামানতের চেয়ে তিনগুণ বেশি ঋণ দিয়ে মারাত্মক আর্থিক ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘লাল তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে। বিতরণ করা ঋণের ৮৩ শতাংশের বেশি এখন খেলাপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০টি এনবিএফআইয়ে গ্রাহকের মোট আমানতের পরিমাণ ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই ঋণ বিতরণ করেছে, এবং তাদের সরবরাহ করা জামানতের তথ্য স্বাধীন নিরীক্ষার আওতায় যাচাই করা হয়নি। এ কারণেই ঋণের বিরাট একটি অংশ ফেরত না পাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮৩ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং।
সাধারণত খেলাপি ঋণের ঝুঁকি কমাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের সমান বা তার চেয়ে বেশি অর্থমূল্যের জামানত রাখে। কিন্তু লাল তালিকাভুক্ত এই ২০টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চিত্রটি সম্পূর্ণ উল্টো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার জামানতের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ২৫ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ঋণের বিপরীতে জামানতের পরিমাণ মাত্র ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়েছে। জামানতের যে তথ্য প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়েছে, সেটা কোনো স্বাধীন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাচাই করা হয়নি। এই অপর্যাপ্ত জামানতের কারণেই দুর্দশাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৮৩ শতাংশের বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।