জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার এক নেতার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে। বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে ওই চাঁদা চাওয়া হয়। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম নিজাম উদ্দিন। তিনি সংগঠনের নগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী।
রোববার সন্ধ্যায় চাঁদা চাওয়ার কথোপকথনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব রাহাদুল ইসলামের আইডি থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়।
এতে তিনি লিখেছেন, ‘সাইফপাওয়ার টেকবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এটা শুধু দুর্নীতিই নয়, এটি ছাত্র ও জনতার বিশ্বাসের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।
এদিকে ফেসবুকে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নিজাম উদ্দিন রাতে লাইভে এসে ওই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নিজাম বলেছেন, এটা তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
ভাইরাল হওয়া দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামে একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলতে দেখা যায়। তার এই কথা বলার দৃশ্য অন্য আরেকটি ফোনে ভিডিও করা হয়। এই ভিডিওতেই নিজাম উদ্দিন আফতাব হোসেনকে আশ্বস্ত করেন বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করানো হবে। আফতাব হোসেনকে জিজ্ঞেস করেন, টাকা দিয়েছেন কিনা। আফতাব ৫ লাখ টাকা দিয়েছে বলে জানান নিজামকে। নিজাম উদ্দিন বলেন, আরও ৫ লাখ টাকা নিতে পারো কিনা দেখো প্রেসার দিয়ে। নিতে পারলে রোহান, মীরদেরকে কিছু দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা হবে।
এই মীর রোহানরা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। আর আফতাব হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক সমন্বয়ক বলে জানা গেছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে রাতে নিজাম উদ্দিন ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘৩০ মে রাত ১২ টার দিকে এক ছোট ভাই রিফাত আমাকে কল দেয়। সেদিন আমি দুষ্টুমি করে অনেক কথা বলেছি। সেই ভিডিওধারণ করে তারা আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়। আমি কোন টাকা চাইনি। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করুক। এটা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ডাউন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। রিফাতকে দিয়ে জোরপূর্বক এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে এক নারীর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগে ওই নারী সিএমপি কমিশনারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। গত ৫ জুলাই এই অভিযোগ দেয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম নগর শাখার তার তৎকালিন সদস্যসচিব পদ স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই পদ আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.