স্পোর্টস ডেস্ক : আগামীকাল নাজমুল হোসেন শান্তরা নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন মাঠে নামবেন, তখন ঢাকার ঘড়ির কাঁটায় ভোর ৪টা। শীতের সকালের আড়মোড়া ভেঙে দেশের মানুষকে জেগে ওঠার অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। ততক্ষণে প্রথম ইনিংসের অর্ধেকটা প্রায় শেষ। যদিও ক্রিকেটপাগল কিছু মানুষ সে কাকডাকা ভোর থেকেই খেলা দেখবেন। তাদের জন্য হলেও হয়তো ভালো খেলার চেষ্টা থাকবে টিম বাংলাদেশের। রোববার যেমন খেলেছে ডুনেডিনে। সে ম্যাচে জিততে না পারলেও লড়াই হয়েছিল ভালো।
আগামীকাল সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ম্যাচে আশাজাগানিয়া কিছু পারফরম্যান্স দেখার অপেক্ষায় থাকবে দেশ। কারণ নিউজিল্যান্ডের এই ভেন্যুতে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের।
বিদেশিদের জন্য বরাবরই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন। প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াকেও খাবি খেতে হয় তাসমানপাড়ে। সেখানে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ব-দ্বীপের ক্রিকেট দলের জন্য চ্যালেঞ্জ আরেকটু বেশি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের এ অভিজ্ঞতা ১৬-১৭ বছরের। টেস্টে সেটা ২২ বছর হয়ে গেছে। যদিও ২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সে অভিজ্ঞতা একটু হলেও ভালো খেলতে উজ্জীবিত করেছে বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের। বাংলাদেশ এই সিরিজ বা সফরে কোনো ম্যাচ জিততে পারবে কিনা, সে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না কেউ। তবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে প্রশংসিত হবে বিশ্বজুড়ে। নাজমুল হোসেন শান্তরা জয়ের মানসিকতা নিয়েই খেলছেন। যেটা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ছিল।
বিশ্বকাপ-পরবর্তী প্রথম ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিশন এটি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল গোছানোর পরিকল্পনা তাঁর মাথায়। সিনিয়র ক্রিকেটাররা না পেলেও যেন পুলের ক্রিকেটারদের দিয়ে যে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়, সেভাবে এগোচ্ছেন কোচ। সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়কে দলে নেওয়া সেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। ব্যাটিং ওপেন করতে নেমে সৌম্য রানের খাতা খুলতে না পারলেও আরেকটি সুযোগ পেতে পারেন। বিজয় পরের দুই ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছেন ডুনেডিনে রান করে। তবে গত ম্যাচে যে দুর্বলতা পরাজয়ের কারণ, তা হলো ছোট ছোট জুটি গড়তে না পারা।
নেলসনে পুরো ৫০ ওভার খেলা হলে কিউইদের বিপক্ষে জিততে বড় স্কোর লাগবে প্রথমে ব্যাটিং পেলে। নেলসনে বোলারদের জন্য ভালো সুবিধা থাকে। প্রথমে বোলিং করতে হলে মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে প্রতিপক্ষকে বড় স্কোর করতে না দিতে। তাদের যেই খেলেন না কেন, চেষ্টা করতে হবে প্রতিপক্ষকে বাউন্ডারি দিয়ে বেশি শটস খেলতে না দেওয়া। আর স্পিনাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেলে ব্রেকথ্রু পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সব মিলিয়ে নেলসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।