শুরুর দিকে ঘাপটি মেরে থাকে, খুব একটা ধরা দেয় না। ধীরে ধীরে যখন সমস্যা বাড়ে, তখন অনেকটাই গেড়ে বসে যায় ফুসফুসে। ফুসফুসের অন্যতম গুরুতর রোগ নিউমোনিয়া। কয়েকদিন আগে গেল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস।

আর এ উপলক্ষে নিউমোনিয়া নিয়ে কথা বলেছেন এইওডি চিকিৎসক রাজা ধর। চিকিৎসকের কথায়, নিউমোনিয়া এখনো একটি নীরব ঘাতক, যা বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, যার মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ঘটে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মৃত্যু।
এই রোগটি বয়স্কদের, বিশেষ করে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। নিউমোনিয়াকে বিশেষভাবে বিপজ্জনক করে তোলে এই কারণে যে, এটি প্রায়শই সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো শুরু হয়, কিন্তু দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা না করা হলে তা মারাত্মক শ্বাসকষ্টে পরিণত হতে পারে।
দ্রুত চিহ্নিতকরণ ও সময়মতো চিকিৎসা
আদর্শগতভাবে বহির্বিভাগের পর্যায়েই জীবন বাঁচাতে পারে। তবে, যদি হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে রোগীদের প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞসহ সুসজ্জিত রেসপিরেটরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটগুলোতে রাখা উচিত।
আরেকটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হলো অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, যা প্রায়শই উন্নতমানের অ্যান্টিবায়োটিকের দায়িত্বজ্ঞানহীন বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের ফলে তৈরি হয়। এই জীবনরক্ষাকারী ওষুধগুলোর কার্যকারিতা বজায় রাখতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের অবশ্যই যুক্তিসংগত অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিরোধ
প্রতিরোধই আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখা, ধূমপান এড়িয়ে চলা, ভালো পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে আপ-টু-ডেট থাকা, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা মারাত্মকভাবে কমিয়ে দিতে পারে।
আসুন আমরা মনে রাখি, ফুসফুসকে রক্ষা করাই জীবনকে রক্ষা করা। ফুসফুসের সংক্রমণের যেকোনো লক্ষণের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন এবং নিউমোনিয়ার বিপদ থেকে আপনার প্রিয়জনদের, বিশেষ করে খুব ছোট শিশু ও বয়স্কদের রক্ষা করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



