জুমবাংলা ডেস্ক : মোংলা বন্দরকে বিশ্বমানের নিরাপদ আধুনিক ও স্মার্ট সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে। মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর।
ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই।’ এ সময় নেপাল ও ভূটান মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবান জানান নৌ উপদেষ্টা। মঙ্গলবার খুলনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহবান জানান।
সভায় নৌ উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে। এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা বাড়বে। চ্যানেলে ৮.৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরে বার্ষিক প্রায় ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার, ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়বে।
এ সময় বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও আমদানি – রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে রাজস্ব বিভাগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং এর প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের জন্য নিজস্ব ২ টি ড্রেজার ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নেপাল ও ভূটান মোংলা বন্দর ব্যবহার করলে মোংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আসবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বন্দরের আরও বেশি প্রচার প্রচারণা করা দরকার। মোংলা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বুকলেট তৈরি করে আমাদের বিদেশী মিশন গুলোর মাধ্যমে প্রচারণা বাড়াতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পত্র দেয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময়ে দেশের সকল নদীবন্দর,স্থল বন্দর, সমুদ্রবন্দর গুলোকে নিয়ে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরী করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মোংলা বন্দরকে ব্র্যান্ডিং করতে এবং বন্দরের কার্যক্রমকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘হানিফ সংকেত পরিচালিত ইত্যাদি অনুষ্ঠানটি’ মোংলা বন্দরে ধারনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও মতবিনিময় সভায় জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমানসহ বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।