বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেট জিরো লক্ষ্য অর্জনে প্রাকৃতিক কার্বন সিঙ্ক, যেমন—বন, সমুদ্র ও মাটি, ব্যবহার করে কার্বন নির্গমন কমানোর কৌশল ঝুঁকিপূর্ণ বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের নির্ভরতা প্রকৃত কার্বন হ্রাসে ভূমিকা না রেখে কৃত্রিমভাবে দেশগুলোকে নেট জিরো লক্ষ্যের কাছাকাছি দেখাতে পারে।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মানুষ যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে, তার প্রায় অর্ধেক প্রাকৃতিক সিঙ্ক শোষণ করে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক কার্বন সিঙ্কগুলো আসলে ঐতিহাসিক দূষণ অপসারণে কাজ করে এবং এগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর নির্গমন পূরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইলস অ্যালেন বলেন, আমাদের বন ও মহাসাগর রক্ষা করতে হবে, যেন তারা তাদের প্রাকৃতিক কার্বন শোষণের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। কিন্তু এই সিঙ্ককে জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখানো ভুল।
গবেষণায় বলা হয়, কিছু দেশ পরিচালিত বনভূমি বা পরিচালিত সমুদ্র বলে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলোকে তাদের কার্বন হ্রাস হিসাবের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। এতে প্রকৃত অগ্রগতি আড়ালে চলে যাচ্ছে।
গবেষণাটি দেখায়, বন্যা বা দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সৃষ্ট কার্বন নির্গমন অনেক সময় হিসাবের বাইরে থেকে যায়। এই ঘাটতির কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখতে নির্ধারিত কার্বন বাজেট প্রকৃতপক্ষে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ কম হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বনভূমির ওপর নির্ভরতা বন্ধ করে শিল্পখাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি। না হলে জলবায়ু সংকট মোকাবিলার লক্ষ্য বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।