আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি মঞ্চে ওঠার পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা বের হয়ে গেছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক সময় সকালে এ ভাষণ দেন তিনি।
বার্তাসংস্থা আনাদোলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিয়ে আলোচনা করেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালাবে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে লেবাননে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, তা ও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয় কারাগারে থাকা উচিত।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরাও নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন।
সাধারণ পরিষধের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।