জুমবাংলা ডেস্ক : বিদেশ থেকে একজন যাত্রী বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনতে পারেন। একযুগ ধরে ব্যাগেজ বিধিমালায় এই সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এবার সেই সুবিধার অপব্যবহার ঠেকাতে স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে ব্যাগেজ বিধিমালায়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বাড়ছে।’ তাই ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করার প্রস্তাব করেন তিনি।
জানা যায়, স্বর্ণালংকারের নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবারের চুড়ি নিয়ে আসার হার সম্প্রতি বেড়ে গেছে। প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর চার হাজার টাকা। সেই হিসেবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। এই শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কিছুই করার ছিল না কাস্টমস কর্মকর্তাদের। কারণ, স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা ছিল না। সে জন্য নতুন বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এই সুবিধার অপব্যবহার হবে না।
বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায়’ স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ নতুন এই সংজ্ঞার কারণে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার দিয়ে ১০০ গ্রাম ওজনের মোটা চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২২ ক্যারেটের প্রকৃত স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন।
এবারের বাজেটেও আগের মতোই একজন যাত্রী শুল্ককর পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের জন্য চার হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। সেই হিসেবে ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণবার আনতে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিতে হবে। এর বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো যাত্রী এর বেশি স্বর্ণবার আনলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান আছে। এবারের ব্যাগেজ বিধিমালায় ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীদের জন্য স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।