পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি বিশ্বের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন ৭টি দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণকৃত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোস, ওশেনিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু, আফ্রিকার ক্যামেরুন ও ক্যাপভার্ড, এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আব্দুর রউফ বলেন, “সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগত মান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য এবং মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে ওয়ালটন আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে ওয়ালটন। গত এক বছরে আমরা নতুন ৭টি দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস শুরু করেছি।”
তিনি আরও জানান, চলতি দশকের শুরু থেকে ওয়ালটন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে ব্র্যান্ড সম্প্রসারণের জন্য সুদক্ষ গ্লোবাল বিজনেস টিম গঠন করা হয়েছে। কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি ও শাখা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ালটনের গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকার মান, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।
ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কম্প্রেসর, ফ্যানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন পণ্য শীর্ষে রয়েছে, যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানটিকে আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।