লাইফস্টাইল ডেস্ক : আলিয়া ভাট প্রতি মাসে তার কন্যা রাহাকে ইমেইল পাঠান। যেখানে থাকে তাদের ছবি, ভিডিও এবং নানা স্মৃতি। এগুলোর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল মেমোরি বুক তৈরি করেন। ভালো মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে চাইলে প্যারেন্টিংও হতে হবে ঠিকঠাক। তবে তিন নো-ফিল্টার প্যারেন্টিং পদ্ধতি মেনে চলেন। কিন্তু কী এই নো-ফিল্টার প্যারেন্টিং?
নো-ফিল্টার প্যারেন্টিং হলো, সৎ ও খোলামেলা থাকা। যেখানে মা-বাবারা তাদের সত্যিকারের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ভাগ করেন। তারা শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। এতে কোনও ধরনের গোপনীয়তা থাকে না।
আলিয়া ভাট শুধু বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীই নন। তিনি তার খোলামেলা এবং সৎ প্যারেন্টিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আধুনিক মাতৃত্বের নতুন নিয়ম তৈরি করছেন। যেখানে নারীরা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবন ভারসাম্যপূর্ণ করতে চেষ্টা করছেন। আলিয়ার নো-ফিল্টার প্যারেন্টিং স্টাইল নতুন মায়েদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়। তিনি অসম্পূর্ণতাকে গ্রহণ করেন এবং প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করেন, যা নতুন মাদের কাছে অনেক কিছু শেখার মতো।
মাতৃত্ব সবসময় আদর্শভাবে দেখানো হয়। কিন্তু আলিয়া ভাট জানেন কঠিন বাস্তবতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জানি না আমি পারফেক্ট মা হতে পারব, তবে আমি ভালো মা হতে পারি।’ তার এই কথা নতুন মায়েদের চাপে ফেলবে, যারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ করেন। আলিয়া পরিপূর্ণতা না খুঁজে, তার কন্যা রাহার পাশে থাকার এবং মূল্যবোধ শেখানোর দিকে গুরুত্ব দেন। তিনি তার প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করেন। যেমন রাহাকে ভালোভাবে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো এবং কাজের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ভূমিকা পালন করা।
আলিয়া একটি বিশেষ প্যারেন্টিং ভাবনায় রাহাকে জন্মের পর থেকে প্রতি মাসে ইমেল পাঠান। তিনি জে শেটির পডকাস্টে বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে ছবি, ভিডিও এবং আমাদের নানা স্মৃতির সংগ্রহ পাঠাই।’ এটি রাহার জন্য একটি মেমোরি বুক, যা সে বড় হয়ে মনে রাখতে পারবে।
আলিয়া ভাটের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নতুন মায়েদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়। তার এই আধুনিক উপায়টি, সবার জন্য বেশ কাজের হতে পারে। বিশেষ করে, যাদের কাছে বেবি জার্নাল রাখার সময় বা ধৈর্য নেই। আলিয়া রাহার জন্য তার শৈশবের মুহূর্ত এবং অনুভূতিগুলো রেকর্ড করে রাখছেন, যা এক ধরনের শারীরিক স্মৃতি হিসেবে রাহাকে ভবিষ্যতে উপহার দেওয়া যাবে।
এই প্যারেন্টিং কৌশলে সন্তান হবে সফল ও আত্মবিশ্বাসীএই প্যারেন্টিং কৌশলে সন্তান হবে সফল ও আত্মবিশ্বাসী
আলিয়া ভাটের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো-
সহায়তা নেওয়া অপরাধ নয়: আলিয়া খোলামেলা ভাবে স্বীকার করেছেন যে, তার পরিবার এবং কর্মস্থান থেকে নানা ধরনের সহায়তা নেন। তিনি একজন কর্মজীবী মায়ের জন্য এসব সুবিধা ও সহায়তা নেওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এতকিছুর পরও চিন্তা কখনো কমে না; শুধু তা পরিবর্তিত হয়।’
আলিয়াকে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে শিখিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তার সঙ্গে অনেক বেশি থাকতে চেষ্টা করি।’ যেখানে আমরা সব সময় আগামীকালের দিকে চেয়ে থাকি। সেখানে শিশুরা আমাদের বর্তমানে থাকতে শেখায়। পারফেকশন একটি মিথ: কোনো মা-ই পুরোপুরি পারফেক্ট নয়। মাতৃত্ব হলো নিজের সেরাটা দেওয়া এবং অসম্পূর্ণতাকে মেনে নেওয়া।
স্মৃতি সংরক্ষণ করুন: বিশেষ মুহূর্তগুলি সংরক্ষণ করার সৃজনশীল উপায় হতে পারে ই-মেইল ডায়েরি। যেখানে আলিয়ার মতো ই-মেইল ডায়েরি তৈরি করে, তা ভবিষ্যতে আপনার সন্তানকে উপহার দিতে পারেন।
আলিয়া জানান, রণবীর কাপূরের সাথে তার সম্পর্ক খুবই সুন্দর। তিনি অনেক সময় রাহার সঙ্গী হয়ে থাকেন। এটি কো-প্যারেন্টিংয়ের ভালো দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, ‘রাহার দিকে তাকালে তার চোখে তারা ঝলমল করে।’ আলিয়া ভাটের অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায়, প্যারেন্টিং হলো সঠিকভাবে কাজ করা নয়, বরং উপস্থিত থাকা, সৎ থাকা এবং শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।