আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের দুটি পবিত্র স্থানে জমজমের পানি পান করার ক্ষেত্রে মুসলিম পুণ্যার্থীদের জন্য চারটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার সময় পুণ্যার্থীদের মধ্যে পরোপকারের মনোভাব দেখানো, ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে অন্যকে সহযোগিতা করা এবং পানি পান করার সময় বয়োজ্যেষ্ঠদের আগে সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার পর একবার ব্যবহারযোগ্য কাপগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। আর পান করার সময় তা সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যেন মেঝেতে পানি না পড়ে। যাতে করে পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমজমের জীবাণুমুক্ত পানি মূলত মুসলিমদের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে বিতরণ করা হয়। নতুন ওমরাহ মৌসুম চলাকালে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুসলিম পুণ্যার্থীদের কাছে জমজমের পানির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অন্য দেশ থেকে যারা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তারা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত পুণ্যার্থীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, জমজমের পানির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এই পানি পান করলে অনেক সময় বড় ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমেই ওমরাহ ও হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশি পুণ্যার্থীদের জন্যও নুসুক অ্যাপটি উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরবের ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়। এতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার দেশটিতে ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গেছে অন্তত কয়েকগুণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।