বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাজাগতিক এই ঘটনাটি সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কমবেশি জানেন। আমাদের এই সুপ্রিয় গ্রহ থেকে সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরে ১১৮১ সালে এক নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ঘটে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটা সুপারনোভা নামে পরিচিত। সুপারনোভা হলো এক ধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ প্রক্রিয়া, যার কারণে একটি নক্ষত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং অবশেষরূপে থাকে শীতল নীহারিকা ও কৃষ্ণবিবর।
এই নক্ষত্রের রয়েছে কাঁটার মতো ফিলামেন্ট, যা আলোক বিকিরণ করে। এর আকৃতি কেন এমন হলো, সেটাই একটা বড় বিস্ময়।
জানা গেছে, কাঁটার মতো এই ফিলামেন্ট মূলত গরম সালফারের লতানো রূপ। অবশেষে বিজ্ঞানীরা জানতে পারলেন, এর আকৃতি কেন এমন হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণটি প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস নামের একটি সাময়িকীতে। ১ নভেম্বর তা প্রকাশিত হয়। সাময়িকীটিতে নক্ষত্রটির বিস্ফোরণের পরের একটি ত্রিমাত্রিক ছবি ছাপা হয়েছে।
ম্যাসাচুসেটসের হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের অ্যাস্ট্রফিজিকস বিভাগের জ্যোতির্বিজ্ঞানী টিম কানিংহ্যাম বলেন, ‘নক্ষত্রের বিস্ফোরণের পর তার অদ্ভুত অবশিষ্টাংশের ব্যাখ্যা বোঝার ক্ষেত্রে আমরা এক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছি।
এই সুপারনোভার ঘটনাটি প্রথম রেকর্ড করা হয় ১১৮১ সালে। তখন চীন ও জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একে ‘অতিথি তারা’ আখ্যা দিয়েছিলেন। পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেই বিস্ফোরণের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত করতে পারেননি। ২০১৩ সালে একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী সেই বিস্ফোরণের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত করেন এবং এর নাম রাখেন ‘পা ৩০ নেবুলা (চধ ৩০ হবনঁষধ)’।
বিজ্ঞানীরা যখন সেই অবশিষ্টাংশ শনাক্ত করতে সক্ষম হন, তখন এটা দেখতে ছিল বেজায় রকমের অদ্ভুত।
একে বলা হয় টাইপ আইএ বা টাইপ ওয়ান এ সুপারনোভা। উল্লেখ্য, টাইপ আইএ সুপারনোভা হলো এক ধরনের সুপারনোভা, যা বাইনারি সিস্টেমে ঘটে (দুটি তারা একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুপারনোভাকালে নক্ষত্রের সাদা বামন অংশটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু এই নক্ষত্রের ক্ষেত্রে কিছু অংশ এখনো টিকে রয়েছে। এর চারদিকে কাঁটাযুক্ত অসংখ্য ফিলামেন্ট রয়েছে, যেগুলো সব দিকে তিন আলোকবর্ষ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। কানিংহ্যামের ভাষায়, ‘এটা সত্যি অসাধারণ। অন্য কোনো সুপারনোভা নেবুলায় এ ধরনের ফিলামেন্ট দেখা যায় না।’ সূত্র : খালিজ টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।