কেন নতুন মোটরসাইকেলে বেশি গতি ওঠানো নিষেধ থাকে?

বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : নতুন মোটরসাইকেল কিনেই বেশি গতিতে চালানো যায় না। বিক্রেতারাও ক্রেতাকে বলে দেন যেন বাইকের গতি কম রেখে চালানো হয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, একটি নতুন বাইক কেনার পরে প্রথম সার্ভিসিং পর্যন্ত এর গতি সীমার মধ্যেই রাখা উচিত। আর এর পিছনে অবশ্য কিছু প্রযুক্তিগত কারণও রয়েছে। যা নতুন বাইকের আয়ু এবং পারফরম্যান্সের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১. গিয়ার, সিলিন্ডার, পিস্টন এবং নতুন বাইকের ইঞ্জিনের অন্যান্য অংশ একে অপরের সঙ্গে সঠিক ভাবে অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। ইঞ্জিনের অংশগুলোর ঘর্ষণ কমানোর জন্য প্রথম ১০০০ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্রেক-ইন প্রক্রিয়াটি ঘটে।

২. বেশি গতি বা হায়ার স্পিড কিংবা রেভোলিউশন (আরপিএম)-এ ছোটানোর ফলে বাইকের এই অংশগুলো সঠিকভাবে ফিট হয় না। যার ফলে ইঞ্জিন দ্রুত বিকল হয়ে যেতে পারে।

৩. একটি নতুন বাইকে যে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়, তা নতুন ইঞ্জিনের অংশের মধ্যকার ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়। আর তার মধ্যে ময়লা জমতে থাকে। দ্রুত গতিতে বাইক ছোটানোর জন্য ইঞ্জিনের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। আর ইঞ্জিন অয়েল সঠিক ভাবে কাজও করতে পারে না। প্রথম সার্ভিসিংয়ের পরে ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন করে পরিষ্কার এবং ইফেক্টিভ অয়েল ভরে দেওয়া হয়।

৪. একটি নতুন বাইকের ইঞ্জিন কিন্তু অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। কারণ সেটা পুরোপুরি ভাবে সেট-আপ না-ও হয়ে থাকতে পারে। আর ইঞ্জিনের ওপর উচ্চগতির বোঝা চাপালে সেটা ইঞ্জিনের কুলিং সিস্টেমকে নষ্ট করে দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ইঞ্জিন কিংবা বাইকের অন্যান্য অংশকেও বিকল করে দিতে পারে সেটি।

OnePlus 13 ও OnePlus Buds Pro 3 Sapphire Blue: দাম, সেল ও অফার জেনে নিন

৫. একটি নতুন বাইকের গিয়ারবক্স এবং ক্লাচ প্লেটগুলোও থাকে নতুন। যা সচল থাকার জন্য প্রয়োজন হয় সাধারণ গতি বা নরমাল স্পিডের। শুধু তা-ই নয়, সঠিক ভাবে ফিট হওয়ার জন্য লোডেরও প্রয়োজন হয়। তাই গতি বাড়ালে তা নতুন বাইকের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ঘণ্টা প্রতি ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটানো উচিত নতুন বাইক।