জুমবাংলা ডেস্ক : বিতরণ শুরুর প্রথম দিনেই ব্যাংকগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন নোটের জন্য হাহাকার। দ্রুত কোটা শেষ হওয়ায় অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে। আবার অনেকে স্বজনদের খুশির কথা চিন্তা করে, দোকান থেকে নতুন নোট কিনছেন চড়া দামে। কর্মকর্তারা জানান, এবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট বিনিময় করছে না। ঢাকায় ব্যাংকে বিতরণের জন্য বরাদ্দ ৯৩ কোটি টাকা মাত্র।
রোববার সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় শুরু হয় নতুন নোট লেনদেন। নতুন টাকা পেতে শাখাগুলোতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এবার মিলছে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট। অতীতে তফশিলি ব্যাংকের পাশাপাশি মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকেও মিলত নতুন টাকা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক বিতরণ করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী একটি শাখায় প্রতিদিন নতুন নোট পাবেন ৯০ জন।
নোট কিনতে আসা একজন বলেন, ‘নতুন টাকা পেলে বাচ্চারা খুশি হয়। ১৮ হাজার ৫০০ টাকার যে নতুন প্যাকেজ দিয়েছে আমি এটার পুরোটাই নিয়েছি।’
তবে অনেকেই ফেরেন খালি হাতে। শাখায় শাখায় ঘুরে নতুন নোট না পেয়ে ক্ষোভ জানান তারা। এ পরিস্থিতিতে পড়া একজন বলেন, ‘ব্যাংক যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ তো এরা সার্ভিস দেবে। এখন এখানে নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে যে প্রতিদিন ৯০ জনের বেশি দেবে না। আজকে আমি এসেছি। কিন্তু ঘুরে যাব। আগামীকাল আবারো আসতে হবে। সামনে যেহতু ঈদ। বাচ্চাদের নতুন টাকার প্রতি আকর্ষণটা বেশি থাকে। মন তো একটু খারাপ হবেই।’
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, লেনদেন কোটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একটি ব্রাঞ্চে দিনে সর্বোচ্চ ৯০ জন গ্রাহক পাবেন নতুন নোট। প্রতিজনের জন্য বরাদ্দ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। তবে কেউ কম নিলে অন্যদের পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ ব্যাংকেরই টাকা। আমরা শুধু ডিস্ট্রিবিউটর। আমরা তাদের কাছ থেকে নিয়ে এসে ডিস্ট্রিবিউট করি। মোট আমাদের কর্মদিবস হবে ৭দিন। প্রতিদিন আমরা ৯০ জনকে দেবো। এর বেশি দিতে পারব না।’
এদিকে, রাজধানীর গুলিস্তানসহ অনেক এলাকার ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে নতুন নোট। গতবারের তুলনায় দাম কিছুটা চড়া বলে জানান বিক্রেতারা। তারা জানান, চাহিদা বেশি ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের।
ব্যাংকে নতুন নোট লেনদেন হবে আরও ছয় দিন। লেনদেনের জন্য ঢাকায় ৮০টি শাখা নির্দিষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।