জুমবাংলা ডেস্ক : পর্যটকদের সুবিধার জন্য সাজেক এলাকার উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলার পাথুরে এলাকায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৩১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনে বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থার কারণে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা এবং সাজেকের অধিকাংশ এলাকা পাথুরে হওয়ায় নলকূপ স্থাপন করা যায় না। এ ছাড়া এটা অনেক ব্যয়বহুলও। সাজেকে পানি সরবরাহেরর জন্য ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠস্থ দুটি উৎস থেকেই পানিপ্রাপ্তি খুবই কঠিন। সাজেক উপত্যকাটি সম্পূর্ণ পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় এবং অত্যন্ত উঁচুতে হওয়ায় পানির স্থিতি তল অনেক নিচে।
মন্ত্রণালয় বলছে, সাজেক দেশের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পটও। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটির চাঁদ নামেও পরিচিত। সাজেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটক আসেন। সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির সময় এটি প্রায় ১০ হাজারে ঠেকে। এখানে প্রায় ১৫০টির অধিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী ও হোটেল রিসোর্ট পরিচালনাকারীদের নিয়ে সাজেকে প্রায় চার হাজার লোকের স্থায়ী বসবাস।
সূত্র বলছে, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই সাজেক ভ্যালিতে নেই কোনো পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। হোটেল বা রিসোর্টগুলো পাঁচ কিলোমিটার দূরে প্রায় আড়াই হাজার ফুট নিচে অবস্থিত একটি ছড়া থেকে জিপের মাধ্যমে পানি এনে পর্যটকদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটায়। আর এই পানি নিয়ে আসাটাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। তা ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে এই ছড়ায় পানির প্রবাহ একেবারেই কমে যায়। আর বর্ষাকালে পানি অত্যধিক ঘোলা থাকে। পানীয় জলের জন্য পর্যটকদের সম্পূর্ণভাবে বোতলের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। যদিও স্থানীয়রা পাহাড়ের ঝিরিতে গর্ত করে পানি সংগ্রহ করে চাহিদা মেটায়। এই পানি ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় ১২ কিলোমিটার পানির সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন, ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় ছয় কিলোমিটার বিতরণ পাইপলাইন স্থাপন ও প্রতিটি ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০টি টাইপ-বি পাবলিক টয়লেট স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকায় ছয়টি পরীক্ষামূলক নলকূপ স্থাপন, ৮৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় তিনটি নলকূপ স্থাপন, ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় তিন কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ এবং ২২ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার টাকায় ৬১টি জিএসএফ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।