বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ নিয়ে নতুন একটি গবেষণার ফল বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত মহাকাশ তত্ত্বটাকেই এখন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। জেমস ওয়েব স্পেস টোলিস্কোপ অথবা হাবল টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্যে এটা পরিষ্কার হয়ে যায়, শত শত বছর আগে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির সূচনাকালে এটা সম্প্রসারণের যে গতি ছিল, বর্তমানে সেই গতি বেড়ে গেছে। তবে এটা কেন হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সেরা মানের কসমোলজি মডেল ব্যবহার করেও কোনো সিদ্ধান্ত টানা সম্ভব হয়নি।
ব্লুমবার্গের খ্যাতিমান প্রফেসর নোবেলজয়ী ও এই গবেষণাপত্রের শীর্ষ গবেষক এডাম রিয়েস এবং সহলেখক জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান-জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রফেসর থমাস জে বারবার বলেন, ‘মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের যে গতি আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, তার সঙ্গে মানসম্মত মডেলের নির্দেশিত গতির মাঝে ফারাক দেখা যাচ্ছে।
এতে প্রমাণিত হয়, মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমরা যা জানি, তাতে ফাঁক রয়ে গেছে। আমরা হাবল টেলিস্কোপ থেকে যে তথ্য পেয়েছি, সেটাকে আমরা খুবই গভীরভাবে বিবেচনায় নিয়েছি। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু একই সঙ্গে মহাবিশ্বটাকে আরো অর্থবহভাবে জানার একটা সুযোগও বটে।’
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টোলিস্কোপ অথবা হাবল টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্যে কোনো গরমিল নেই। গবেষকদের এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে। উল্লেখ্য, এডাম রিয়েস যে কারণে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পদক পেয়েছিলেন, সেটি হলো ‘এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কারণে হচ্ছে রহস্যময় ‘ডার্ক এনার্জি’, যেটি মহাশূন্যজুড়ে পরিব্যাপ্ত।’ সূত্র : ডেইলি সায়েন্স.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।