আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে নতুন চমক নিয়ে এসেছে সুপারমার্কেট-অন-হুইলস নামক এক ‘বাসবাজার’। এটি জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম খুচরা খাদ্য বিক্রেতা আরইডব্লিউই ও ডয়েচে বান রেল ও পরিবহণ সংস্থার একটি পাইলট প্রকল্পগু।
১৮ মিটার (৬০ ফুট) দীর্ঘ বেন্ডি বাসটি ৯৫০টিরও বেশি দৈনন্দিন পণ্য বহন করে। সুপারমার্কেট বাসটিতে খাবারের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে সিগারেট, সংবাদপত্র, সাবান এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীও পাওয়া যায়। বেচাকেনার সময় বাসের বাইরে প্রদর্শন করা হয় তাজা ফল ও শাকসবজি।
সুপারমার্কেট বাসটির পরিচালক জোয়ার্ন বেরসজিনস্কি বলেন, সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত সুপারমার্কেট বাসটি ২৩ গ্রামে ৬০০ কিলোমিটার পথ পর্যন্ত যায়। বাসবাজারের বোর্ড চার্টে থাকা থাকা দাম আরইডব্লিউই সুপারমার্কেটের দামের সমান। প্রকল্পটিতে ড্রাইভার সরবরাহ করেচে ডয়েচে বান। আর এর অনবোর্ড ক্যাশিয়ার নিযুক্ত হয় আরইডব্লিউ দ্বারা।
চলতি বছরের মার্চে যাত্রা শুরু হয় এই বাসবাজারের। জার্মানির হেসে রাজ্যের গ্রামগুলোতে খাদ্য সরবরাহ করে থাকে। বসন্তের শুরুতে পশ্চিম জার্মানির প্রত্যন্ত গ্রাম লোহনের একমাত্র মুদি দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ৬০০ বাসিন্দার একমাত্র ভরসা এ ‘বাসবাজার’ বা ‘বাসশপ’।
প্রায় তিন কিলোমিটার (১.৮ মাইল) দূর থেকে সদাই করতে আসা সাপ্তাহিক এ বাসবাজারের খদ্দের ইঙ্গে নেহরেং বলেন, ‘আমার যদি বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয় তাহলেই শুধু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যাই।’
সন্তানসহ কেনাকাটা করতে আসা ইয়াসমিন স্লাইডার (৩৪) বলেন, ‘গাড়িতে যা পাওয়া যায় না তা হলো ডায়াপার ও ভেজা টিস্যু।’
জনপ্রিয় আড্ডাস্থলও হয়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ এই সুপারমার্কেটটি। বয়স্ক বাসিন্দারা এখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুয়োগ পান। একা বসবাসকারী উরসুলা সাউর (৮৫) বলেন, ‘কেনাকাটা করার পরে আমরা একটি বেঞ্চে বসে একটু কথা বলি।’
ইএইচআই রিটেইল রিসার্চ গ্রুপের মতে, জার্মানিতে বাস প্রকল্প মোটামুটি অনেকেরই নজরে এসেছে। কারণ গত কয়েক দশকে দেশটিতে ৪০০ বর্গ মিটারেরও কম জায়গায় প্রায় ২ হাজার সুপারমার্কেট বন্ধ হয়ে গেছে।
জার্মানির অন্যান্য অঞ্চলগুলোও ভ্রাম্যমাণ বাজারের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা যায়। আরইডব্লিউই সুপারমার্কেট গ্রুপটি আরও সম্প্রসারণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২০২৫ সালের মার্চে পরীক্ষামূলক প্রকল্প শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।