জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘায় ‘বাঘাশাহী’ আগাম জাতের নতুন আমের বিস্তারের চেষ্টা শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতানের উদ্দ্যোগে এ আম বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জাতের আম উপজেলায় একটি গাছে ধরেছে বলে তিনি জানান।
এ আম খিরসাপাত আমের মতো সুমিষ্ট এবং এর নিজস্ব ঘ্রাণ রয়েছে। ইতোমধ্যেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ আম বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে পাওয়া যাবে। চাষিরা এ আম চাষ করলে বাজারে গুটি আমের আগে বাজারজাত করতে পারবেন। উৎপাদন হলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। এ আম আম্রপালি আমের মতো দেখতে।
এর কোনো আশ নেই এবং আঁটি ছোট। পাল্পের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যান্য আম পাকার পর ৩-৪ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এ আম পাকার পর ৭-৮ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। এ আম পাকার পর খুব আকর্ষণীয় রং ধারণ করে। এ আমের ডাটা অন্য আমের চেয়ে শক্ত। এ আম প্রতিবছর গাছে আসবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ওই গাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে চারা তৈরি করে সেই চারা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সরকারি নার্সারিতে দেওয়া হবে। আশা করছি ২-৩ বছরের মধ্যে সেই চারা সবাই সরকারি দামে কিনতে পারবেন। এ আম গাছটি বাঘায় অবস্থিত এবং ভবিষ্যতে এর জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘বাঘাশাহী’।
তিনি বলেন, এ আম মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পাকবে। আঁশ নেই, আঁটি ছোট। তাই পাল্পের পরিমাণ বেশি। মিষ্টতার পরিমাণ খিরসাপাত/হিমসাগরের কাছাকাছি। পাকার পর ১০ দিন ভালো থাকবে। প্রতিবছর আম ধরবে। আগামী বছর থেকে বিভিন্ন সরকারি নার্সারিতে এ জাতের চারা যাতে পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।