আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাঁচটি দেশের জন্য নতুন ভিসানীতি আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। অভিবাসন ব্যবস্থার সুযোগের অপব্যবহার করায় এই দেশগুলোর জন্য এই নতুন নীতি কার্যকর হবে। এখন থেকে এই নীতির আওতাভুক্ত হবেন ৫ দেশের সব নাগরিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার (১৯ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে পাঠানো লিখিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, নতুন এই নীতি কেবলই ‘অভিবাসন এবং সীমান্ত সুরক্ষার কারণে’ই করা হয়েছে। তবে এই নীতি তালিকায় থাকা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খারাপ এমনটা ইঙ্গিত করে না বলেও জানানো হয়েছে।
পাঁচটি দেশ হলো—ডমিনিকান রিপাবলিক, হন্ডুরাস, নামিবিয়া, তিমুর-লেসতে এবং ভানুয়াতু।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান জানিয়েছেন, ডমিনিকান রিপাবলিক এবং ভানুয়াতুতে টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়া এই দেশ দুটি ব্রিটিশ অভিবাসন নীতির অপব্যবহার করেছে। কমনওয়েলথভুক্ত এই দেশ দুটি এমন সব মানুষকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে যা কিনা সরাসরি যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
তিনি জানিয়েছেন, নতুন এই নীতি কেবলই ‘অভিবাসন এবং সীমান্ত সুরক্ষার কারণে’ই করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই নীতি তালিকায় থাকা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খারাপ এমনটা ইঙ্গিত করে না। আরও দুটি দেশ—নামিবিয়া এবং হন্ডুরাসের নাগরিকেরা ব্রিটিশ অভিবাসন নীতির অপব্যবহার করেছে। তাদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তা অতিক্রম করে তারা একাধিকবার যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক আশ্রয় সুবিধার অপব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিমুর-লেসতে সম্পর্কে ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, দেশটির নাগরিকেরা ‘অবৈধ পর্যটক’ হিসেবে যুক্তরাজ্যে আসছে। এ ছাড়া তারা সেখোনে গিয়ে ভুয়া নাগরিকত্বের সনদ তৈরী করছে। এ কারণেই দেশটির ওপর নতুন ভিসা নীতি আরোপ করা হয়েছে। এর আগে একই দিনে ৪ দেশের ৩৯ ব্যক্তির ওপর নতুন ভিসা নীতি আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরের। ৩৯ জনের মধ্যে এই তালিকায় ১০ জন গুয়াতেমালার, ১০ জন হন্ডুরাসের, ১৩ জন নিকারাগুয়ার এবং এল সালভেদরের ৬ জন।
এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করা ও দুর্নীতিসহ বেশকিছু অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে কারও ইতোমধ্যে মার্কিন ভিসা থাকলে তা বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এল সালভেদরের সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট আসে বলেও উল্লেখ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।