বিনোদন ডেস্ক : বছরের প্রথম দিন আজ। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মনটা তবুও বিষন্ন। মধ্যরাতে তাঁর দেওয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তেমনই আভাস।
সোমবার (১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরে ফারুকী লিখেছেন, ‘নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে। কারও আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না। কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি—তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি: এখন বাজে রাত দুইটা।’
কী কারণে এই স্ট্যাটাস সেটা উল্লেখ না করলেও আঁচ করা যায়, মুহুর্মুহু আতশবাজি আর পটকা ফোটানোর আওয়াজে বিরক্তবোধ করেছেন জনপ্রিয় এই নির্মাতা। বিষয়টি সম্প্রতি তাঁর ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ চলচ্চিত্রেও চিত্রায়ন করেছেন তিনি। যেখানে দেখা গেছে, মধ্যরাতে পটকা ফোটানোর শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কথা চিন্তা করে তা বন্ধে একটি বাড়িতে গেলে সেখানে কিছু মানুষ তাঁর কথা না শোনে বরং আরও ক্ষেপে যায়, ঝামেলা বাঁধে। ফেঁসে যান উৎকণ্ঠা নিয়ে বের হওয়া মানুষটি।
বাঙালি উৎসবপ্রবণ জাতি। এই আনন্দ-উৎসবের বিরুদ্ধে নয় ফারুকীও। তাই একটি সমাধানও বাতলে দিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশু-পাখীদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরো শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাইতো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেয়া দরকার! উচ্চশব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলার আশপাশের ভবনের মানুষেরা জানবে কোন সময়টাতে এ রকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরের দিকে ছুঁড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারও না কারও মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কি না, এটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতঙ্কের ওপর রাখছিলেন, তাঁদেরও!’
প্রসঙ্গত, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে থার্টিফার্স্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকায় ‘বৃষ্টির মতো’ উড়েছে আতশবাজি-ফানুস, ফুটেছে পটকা। তবে এই আনন্দ যেকোনো সময়েই শোকে পরিণত হতে পারে। ঝুঁকি থাকে বড় দুর্ঘটনার। তাই আগে থেকেই আতশবাজি করতে নিরুৎসাহিত করেছিলেন অনেক তারকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।