আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশে কমছে সাক্ষরতার হার। এর পেছনে কারণ মোবাইলের প্রতি আসক্তি। তাই নিউজিল্যান্ডজুড়ে স্কুলগুলিতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন দেশের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন। নিউজিল্যান্ডের স্কুলগুলি একসময় বিশ্বের সেরা সাক্ষরতার হার নিয়ে গর্ব করত।
কিন্তু এখন স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন এবং পড়াশোনার মান এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, কিছু গবেষকরা ভয় পান আগামীদিনে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘সংকট’ দেখা দিতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ফ্রান্সে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত এই নীতি দেখে লুক্সন ঘোষণা করেছিলেন, তিনি অফিসে তার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করবেন। কথামতো কাজ। নতুন প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই পদক্ষেপটি শিক্ষর্থীদের বিঘ্নিত আচরণ বন্ধ করবে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন,”আমরা নিউজিল্যান্ডজুড়ে স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের বাচ্চারা শিখুক এবং আমাদের শিক্ষকরা তাদের যথাযথ শিক্ষা দেন”।
নিউজিল্যান্ডের চ্যারিটি এডুকেশন হাবের গবেষকরা ২০২২ সালে দেশে “সাক্ষরতার সংকট” সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।
তারা জানান, ১৫ বছরের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছেলেমেয়েরা সবেমাত্র পড়তে বা লিখতে পারে। তখনি দেশে সাক্ষরতার হার বাড়াতে পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানান তারা। ২৭ নভেম্বর শপথ নেয়া লুক্সনের রক্ষণশীল সরকার ক্ষমতায় থাকার প্রথম সপ্তাহে বিতর্কের মুখে পড়েছে। সরকার অপ্রত্যাশিতভাবে বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাতিল করার পরে তামাকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন তিনি। ২০০৮ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী যেকোনো ব্যক্তির কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশটিকে একটি উন্মুক্ত জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
প্রাক্তন প্রিমিয়ার জেসিন্ডা আর্ডার্নের স্বাক্ষরিত জলবায়ু পরিবর্তন নীতিগুলির মধ্যে একটিকে বাদ দিয়ে। লুক্সন অফশোর তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করতেও সম্মত হয়েছেন।
সূত্র : straitstimes
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।