আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ভিসানীতি কঠোর করেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডও। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হবে বলে রোববার ঘোষণা দিয়ছে দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এভাবে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভিসানীতি কঠোর করা হচ্ছে।
নতুন নীতিতে যেসব পরিবর্তন আনা হবে এর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা। নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রণালয় বলছে, কম দক্ষতার চাকরিগুলোতেও এখন কেউ এই দেশে এসে কাজ করতে চাইলে ইংরেজি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। তা না হলে কাজের ভিসা দেওয়া হবে না।
এমন ভিসা পাওয়ারা এখন থেকে আর ৫ বছর থাকতে পারবেন না। অনুমতি থাকবে তিন বছরের।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসনমন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেন, দক্ষ ও কাজে আগ্রহী বিদেশি কর্মীদের বেশি টানতে চাই সরকার। এ তালিকায় থাকতে পারেন শিক্ষক। এই খাতে জনবল কম।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর দেশটিতে রেকর্ড ১ লাখ ৭৩ হাজার অভিবাসী আসে।
পরিসংখ্যান বলছে, নিউজিল্যান্ডে ৫১ লাখ মানুষ বাস করে। মহামারির পর থেকে সেখানে অভিবাসী বেড়েছে। এতে করে সেখানে আর্থিক খাত কিছুটা স্থবির।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীর সংখ্যা বছরের পর বছর বাড়ছেই। এদের একটা অংশ শিক্ষার্থী। এই সংখ্যা কমাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসানীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
ভিসানীতিতে নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে বিদেশি শিক্ষার্থী ও স্নাতক পাস আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা চাওয়া হবে।
এ ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা দেওয়ার কাজে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভাঙবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে।
নতুন যে নিয়ম আনা হচ্ছে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেনুইন স্টুডেন্ট টেস্ট’। অনেকেই শিক্ষার কথা বলে দেশে গিয়ে আর পড়াশুনায় যুক্ত থাকছেন না। এসব ক্ষেত্রেও নিয়ম হবে কড়াকড়ি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।